সিআইডি কার্যালয় নিয়ে গুজব, ব্যবসায়ী গ্রেফতার
‘তিথি সরকার নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিখোঁজ শিক্ষার্থী সিআইডির ছাদে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার’, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন পোস্ট দিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নিরঞ্জন বড়াল (৫০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে সাইবার ক্রাইম সেন্টারের ডিআইজি জামিল আহম্মেদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় ফেসবুকে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে বিভিন্ন তথ্য ও সংবাদ পোস্ট এবং শেয়ার করে আসছিলেন।
জামিল আহম্মেদ বলেন, ‘ওই ব্যক্তি মালিবাগ সিআইডি অফিসের চারতলা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তিথি সরকার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার। আমি হতবাক’– অভিযুক্ত নিরঞ্জন বড়াল ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দেন, যা ভাইরাল হয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে সিআইডি। সোমবার রাতে নিরঞ্জনকে বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গুজবটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর সিআইডি এর পেছনে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে কাজ শুরু করে। ফেসবুক আইডির তথ্য বিশ্লেষণ করে সিআইডির সাইবার টিম জানতে পারে, রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি ফেসবুক আইডি পরিচালনা করছে।
সিআইডি জানায়, তার ফেসবুক আইডির টাইমলাইন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এর আগেও তিনি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী তথ্য ও সংবাদ পোস্ট এবং শেয়ার করেছেন। এসব অসত্য, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ বা তথ্য নিজের পোস্ট করার মাধ্যমে নিরঞ্জন বড়াল সিআইডি তথা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করার হীন চক্রান্তে লিপ্ত ছিল বলেও দাবি করেন ডিআইজি জামিল আহম্মেদ।
উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্ম নিয়ে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ছাত্রী তিথি সরকার এক সপ্তাহেরও বেশি দিন ধরে নিখোঁজ বলে জানিয়েছে তার পরিবার। গত ২৫ অক্টোবর সকালে পল্লবী থানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন তিথি। এরপর থেকে তার আর সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় তিথির বড় বোন স্মৃতি সরকার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এআর/এসএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ