হাজী সেলিমের ছেলে এরফানকে খুঁজছে পুলিশ
অডিও শুনুন
নৌবাহিনী অফিসারকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা -৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমসহ এজাহারভুক্ত আসামিদের খুঁজছে পুলিশ।
সোমবার সকালে মারধরের ঘটনাস্থল কলাবাগানে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রমনার ডিসি সাজ্জাদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত সব আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।
এছাড়াও ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও আজ (সোমবার) ভোরে মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
‘তারা আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো- দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার।
এআর/জেএইচ/জেআইএম