‘ইন্টারনেট বন্ধ রেখে গ্রাহক ভোগান্তির আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সংগঠন আইএসপিএবি ও কোয়াব রোববার (১৮ অক্টোবর) থেকে ৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট জনগণের মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যাংক, বীমা, অফিস, আদালত, মোবাইল ব্যাংকিং ও মোবাইল সেবাসহ প্রায় সবকিছুই পরিচালিত হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের এ কর্মসূচি তাদের দৃষ্টিতে যৌক্তিক হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। পিক টাইমে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে আদালত, ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি অফিস, মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার সেন্টার ও মোবাইল ব্যাংকিংও বন্ধ থাকবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকরা। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায়ও বিঘ্ন ঘটতে পারে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিল্প কারখানা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। তাই এ ধরনের আত্মঘাতিমূলক কর্মসূচি পালন করা মোটেও উচিত হবে না।
মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ রাখা ভোক্তার অধিকার আইন-২০০৯ এর ৪৩ ধারার পরিপন্থি। সমস্যা ১-২ বছরের নয়, তাই সিটি করপোরেশনের উচিত হয়ে বলপূর্বক ক্যাবল অপসারণ না করে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া। এতে রক্ষা হবে সব পক্ষের অধিকার। তাই বৃহৎ স্বার্থ বিবেচনায় আইএসপি অপারেটরদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হোক।
এএস/এএইচ/এমকেএইচ