খালেদা জিয়ার দুই মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ১২ নভেম্বর
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার সাক্ষীদের জেরা শেষে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগামী ১২ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশি বাজার আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে মামলার পরবর্তী এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া দুটি আবেদন করেন। পরে আবেদন দুটি মঞ্জুর শেষে খালেদার পক্ষে উক্ত আইনজীবী মামলার ১৮তম সাক্ষী সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানকে জেরা শুরু করেন। এছাড়া ১৯ নম্বর সাক্ষী মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের এমডি এএফএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও ২০ নম্বর সাক্ষী ডিএমডি মাইনুল ইমরান চৌধুরীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুর রেজাক খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল। এছাড়া আদালতে আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম এবং মুনিরুল ইসলামের পক্ষে জেরা করেন আখতারুজ্জামান।
সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, যে টাকা নিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের জমি কেনা হয়েছে, তা সরকারি টাকা নয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের টাকা দিয়ে এই জমি কেনা হয়েছে। এখানে কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদিও বলেছেন যে, এখানে সরকারি কোনো টাকার লেনদেন হয়নি। আজকের সাক্ষীরাও একই কথা বলেছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এফএইচ/জেডএইচ