ফাঁসি ঠেকাতে সন্ত্রাস চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির
দেশে কুখ্যাত দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দণ্ডাদেশ ঠেকাতে জামায়াত-শিবির বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো ভাবেই কেউ এ রায় কার্যকর রুখতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের টিকরপাড়া মাঠে অর্থ মন্ত্রণালয় অধীনস্থ স্যোশাল ডেভেলপম্যান্ট ফাউন্ডেশন পরিচালিত `নতুন জীবন লাইভলিহোড ইম্প্রোভম্যান্ট প্রজেক্ট` (এসজেএলআইপি) এর উদ্বোধনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, সত্তোর দশকে এদেশে ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিলো। বর্তমানে দেশে দারিদ্রতার হার ২২ ভাগে নেমে এসেছে। চলতি মেয়াদে তা ১৮ ভাগে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, দারিদ্রতা কঠোর জন্তু। এটাকে বিদায়ে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে সরকার। আমাদের রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র বিমোচন। এক্ষেত্রে আমরা সফল হতে পারলে মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে তার শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা নিয়ে বাস করতে পারবে।
বাংলাদেশে দারিদ্রতা প্রসঙ্গে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, অসুর শক্তির বিরুদ্ধে একাত্তরে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। এই অসুর শক্তি এদেশটাকে ধ্বংস করে ক্ষমতা ছাড়ে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নানা প্রতিকূলতা মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দারিদ্রতা নিয়ে নিজেকে বিকশিত করা যায় না। সুন্দর জীবন উপভোগ করতে হলে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হলে জ্ঞান ও বুদ্ধিও বিকাশ ঘটাতে হবে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ষাট হাজারেরও বেশি এনজিও আছে। এর মধ্যে ২৮ হাজার এনজিওর কার্যক্রম বিকশিত ও লক্ষ্যণীয়। এরা সবাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অবহেলিত জনগোষ্ঠির উন্নয়নে কাজ করছে। এর ফলে দেশে দ্রুত দারিদ্রতা হ্রাস হচ্ছে।
এসডিএফর চেয়ারম্যান সাবেক সচিব এমআই চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি হেড ক্রিস্টিন কাইমস, ন্যাশনাল টি কোম্পানির চেয়ারম্যান সাবেক সচিব অর্থনীতিবিদ ড. একেএ মুবিন।
ছামির মাহমুদ/এআরএ