জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতিতে অগ্রগতি নেই
দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর হার বৃদ্ধি পেলেও স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর ও ইউএনএফপি এর উদ্যোগে আগামী শনিবার থেকে সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা ও প্রচার সপ্তাহ শুরু হচ্ছে। দেশে সক্ষম দম্পত্তিদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু-কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির সহজ সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ছোট পরিবার গঠনের পূর্বশর্ত হলেও সক্ষম দম্পত্তিদের মধ্যে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি ব্যবহার সীমিত হওয়ায় কাঙ্খিতমাত্রায় জম্মনিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এবার সেবা ও প্রচার সপ্তাহের থিম নির্বাচিত হয়েছে প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করুন- অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রোধ করুন ’।
মোহাম্মদ নাসিম জানান, বিডিএইচএস-২০১৪ এর তথ্য অনুযায়ী গত ১০ বছরে (২০০৪-২০১৪) জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর হার ৫৮ দশমিক এক শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হলেও স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতিতে তেমন কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩১ লাখ সন্তান প্রসব হয়। তন্মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ১১ লাখ সন্তান প্রসব হয় ।
মন্ত্রী বলেন, প্রসবের পরপরই মা-কে যদি প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আনা যায় অর্থাৎ একটি উপযুক্ত পদ্ধতি প্রদান করা যায় তাহলে একদিকে যেমন অনিচ্ছাকৃত ও পুনরায় গর্ভধারণ এড়ানো সম্ভব তেমনি দীর্ঘ মেয়াদী ও স্থায়ী পদ্ধতি বিশেষ করে টিউবেকটমি ও আইইউডি গ্রহীতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের এমআইএস ইউনিট (২০১৪)’র রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা গেছে সক্ষম দম্পতিদের তথ্য ও নিবিড় সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি গ্রহীতার হার বৃদ্ধিতে সেবা সপ্তাহ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
উল্লেখ্য, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই সপ্তাহে পরিবার পরিকল্পনা স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতি গ্রহীতার সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
এমইউ/এসকেডি