বগুড়ায় যুবলীগ চেয়ারম্যানকে রাজকীয় অভ্যর্থনা


প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে প্রতিনিধি সভায় আগত বগুড়া জেলা যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। কয়েক হাজার মোটরসাইকেল ও তিন শতাধিক গাড়ি নিয়ে এ অভ্যর্থনা বহরের কারণে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে সারা শহর জুড়ে। অসহনীয় দুর্ভোগের কবলে পড়া কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, আগামী ১২ নভেম্বর বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে জেলা যুবলীগ এ প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে। শহীদ টিটু মিলনায়তনে সকাল ১০টায় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলে তা শুরু হয় ১২টায়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আবু আহম্মেদ নাসীম পাভেল। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, টি জামান নিকেতা, মঞ্জুরুল আলম মোহন।

বগুড়া জেলা ছাড়াও নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলার যুবলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন এ প্রতিনিধি সভায়। ঢাকা থেকে ওমর ফারুক চৌধুরীর যে গাড়িবহর বগুড়ায় প্রবেশ করে তাতে ছিলো ১৩৫টি কার ও মাইক্রোবাস। আর বগুড়ার আরো অর্ধ-শতাধিক গাড়ি ছাড়াও অন্য জেলা থেকে কমপক্ষে ১০০টি মাইক্রোবাসে এসেছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া দলীয় চেয়াম্যানকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে বগুড়ার বনানী এলাকায় রাখা হয় দেড় হাজারেরও বেশি মোটরসাইকেল। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুইজন করে ফুলের মালা নিয়ে স্লোগান দিয়ে বগুড়া শহরে প্রবেশ করে নেতাকর্মীরা।

বিশাল এ বহরটি শহরের বনানী থেকে কলোনী শেরপুর রোড হয়ে জলেশ্বরীতলা ও কোর্ট চত্বর হয়ে সাতমাথা এলাকায় প্রবেশ করে। ঠিক এই সময়ে চারপাশ থেকে স্কুল-বাস ও অ্যাম্বুলেন্স এসে আসার কারণে প্রতিটি রাস্তার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ি ও মোটরসাইকেল বহর সাতমাথা থেকে গোহাইল রোড হয়ে সভাস্থল টিটু মিলনায়তনে যায়। এরপর সারা শহরের যানজট নিরসনে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট জানান, সারা শহরে যানজটের এই প্রভাব সারাদিনই ছিলো। কারণ সভা চলেছে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

শহরের সাতমাথা এলাকায় যানজটে কবলে পড়া আব্দুল মজিদ প্রমানিক নামের একজন ব্যবসায়ী জানান, বৃহস্পতিবার ব্যাংক সময় কম। এ কারণে দ্রুত যেতে হবে। কিন্তুু এই যানজটের কারণে দেড় ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। এতোগুলো গাড়ি শহরের মধ্যে না ঢুকিয়ে বাইরে রাখা যেতো।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, বগুড়ায় বড় ধরনের সবা করার মতো পর্যপ্ত জায়গা নেই। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তারপরেও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি যাতে কোনো রকমের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়।

লিমন বাসার/এআরএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।