দুই স্পিনারের নৈপুণ্যে পাকিস্তানের সিরিজ জয়
শারজায় দুই স্পিনার ইয়াসির শাহ ও শোয়েব মালিকের বোলিং নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৭ রানের দারুণ এক জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এর ফলে তিন টেস্ট সিরিজে পাকিস্তান ২-০ ব্যবধানে জয়ী হলো। তৃতীয় ও শেষ টেস্টের পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ড মাত্র ১৫৬ রানে অল আউট হয়ে যায়।
২৮৪ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে মঈন আলি ও ইয়ান বেলকে হারিয়ে ইংলিশরা চতুর্থ দিন শেষ করে ৪৬ রানে। শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৩৮ রান, আর পাকিস্তানের ৮ উইকেট। এই আট উইকেট নিয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকলে হয়তো শেষ টেস্টেও ড্রয়ের স্বাদ পেতে পারত ইংলিশরা। কিন্তু দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতে পড়ে শেষপর্যন্ত হারের স্বাদ পেতে হয়েছে তাদের।
শারজাহ টেস্টের পঞ্চম দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন আগের দিন ১৭ রানে অপরাজিত থাকা অ্যালিস্টার কুক এবং ৬ রানে অপরাজিত থাকা জো রুট। কিন্তু দলীয় ৪৮ রানের সময় ইয়াসিরের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হন রুট।
এরপর একপ্রকার আসা-যাওয়ার মিছিলেই ব্যস্ত ছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। এসময় টেইলর ২, বারিস্টো এবং প্যাটেল শুন্য রানে সাজঘরে ফিরলে এক প্রকার হতাশ হয় ইংল্যান্ড। অষ্টম অবস্থানে নামা আদিল রশিদকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান অধিনায়ক কুক। এই জুটি থেকে ৪৯ রান আসার পর রশিদকে (২২) বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান রাহাত আলী।
এ ছাড়া ইংলিশদের হয়ে স্টুয়ার্ট ব্রড ২০ রান করে ইয়াসিরের শিকার হন। ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে মালিকের বলে স্টাম্পিং হয়ে মাঠ ছাড়েন কুক। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এরপর ৬০.৩ ওভারে সময় সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ফলে এই টেস্টে ১২৭ রানের দারুণ জয় পায় পাকিস্তান।
আর এই জয় দিয়ে র্যা ঙ্কিংয়ের দুইয়ে উঠে গেল পাকিস্তান। ২০০৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যা ঙ্কিং শুরুর পর পাকিস্তান কখনোই এক নম্বরে উঠতে পারেনি। দুই-ই তাদের সর্বোচ্চ অর্জন। এক দশকের অপেক্ষা শেষে সেই শীর্ষে আবার পাকিস্তান।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ২৩৪ রানের জবাবে ৩০৬ রান করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে মিসবাহ-উল-হকের দল ৩৫৫ রান করলে জয়ের জন্য ২৮৪ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ হয় ইংল্যান্ডের। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৫৬ রানেই পাকিস্তানের স্পিন ফাঁদে পড়ে অলআউট হয় অ্যালিস্টার কুকের দল।
বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট পান ইয়াসির শাহ। তিনটি উইকেট তুলে নেন শোয়েব মালিক। তাছাড়া দুটি উইকেট লাভ করেন জুলফিকার বাবর এবং একটি উইকেট পান রাহাত আলী।
আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ দেখায় টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ইংল্যান্ড। এশিয়ায় এত রান তাড়া করে কখনই জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে ২০৯ রান তাড়া করে ৯ উইকেটের জয়ই এশিয়ায় ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় রান তাড়া করার ঘটনা।
জেডএইচ/আরআইপি