কেমন হবে হবু মায়ের লাইফস্টাইল
মা হতে চলেছেন এমন নারীর যত্নআত্তি নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান প্রিয়জনেরা। এই সময়ে কী করা উচিৎ এবং কী করা উচিৎ নয়, সেই বিষয়টি নিয়েও দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন অনেকেই। গর্ভাবস্থায় কী করা উচিৎ এবং কী এড়িয়ে চলা উচিৎ, তার তালিকা বেশ দীর্ঘ। চলুন জেনে নিই, কিছু জরুরী বিষয়-
কী করবেন :
গর্ভকালীন হালকা ও পরিমিত ব্যায়াম আপনার জন্য খুবই উপকারী। কেননা এতে আপনার পশ্চাতের এবং উদরের (অ্যাবডোমিনাল) মাংসপেশিগুলো শক্তিশালী হবে। ভারসাম্য রক্ষা সহজতর হবে ও প্রসবের পর খুব দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা সম্ভব হবে।
খাবার প্রস্তুত ও গ্রহণের আগে এবং কাঁচা মাছ বা মাংস স্পর্শ ও বাথরুম ব্যবহারের পর আপনার হাত খুব ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধোবেন। আপনার বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। বাড়ি পরিষ্কার করার সময় আপনার ঘরে অবাধে বায়ু চলাচল করতে পারে কি না তা নিশ্চিত হোন।
নিয়মিত ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এ সময়ে শরীরে হরমোন লেভেল বেড়ে যাওয়ায় তা মাড়ির রক্তপাত ঘটাতে পারে এবং যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। এছাড়া মাড়ির ইনফেকশনের সঙ্গে নবজাতকের অকাল জন্ম সম্পর্কযুক্ত বিধায় গর্ভবতী মায়েদের দাঁতের সুস্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় যদি বিমানে ভ্রমণের প্রয়োজন হয়, তবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় মাসে আকাশপথে বিমানে ভ্রমণ করা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। কেননা, এ সময় গর্ভপাতের ঝুঁকি খুব কম থাকে। বিমান ভ্রমণকালে আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় পদার্থ পান করা এবং সিটবেল্ট বেঁধে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আপনি মোটরকার, ট্রেন বা বাসেও ভ্রমণ করতে পারেন।
দীর্ঘ ভ্রমণে মাঝেমধ্যে আপনাকে সিট থেকে উঠে একটু চলাফেরা করতে হবে এবং আপনার পা কিছুক্ষণ পরপর প্রসারিত করতে হবে।
কী করবেন না :
উত্তপ্ত বা গরম পানিপূর্ণ গোসলের চৌবাচ্চা ব্যবহার করা উচিত নয়। অতিরিক্ত তাপের কারণে বাড়ন্ত শিশুর মেরুদণ্ড বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোনো উপায়ান্তর না থাকলেই শুধু এক্স-রে করান।
বাড়ন্ত ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর বিধায় এক্স-রে, ম্যামোগ্রাফি প্রভৃতি পরীক্ষা এড়িয়ে চলা উচিত। আর যদি এক্স-রে এড়ানোর কোনো সুযোগ না থাকে তাহলে আপনি যে গর্ভবতী তা চিকিৎসককে জানান, যাতে তিনি অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।
এইচএন/পিআর