বরিশালে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, মামলা দায়ের


প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫
প্রতীকী ছবি

বরিশাল নগরীর আলেকান্দা রিফিউজি কলোনি এলাকায় এক কিশোরীকে (১৬) গণধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকসহ দুই ধর্ষক এবং দু’সহযোগীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালী মডেল থানায় ধর্ষিতা কিশোরী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন কলোনি এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে প্রেমিক বাপ্পী, নুর ইসলামের ছেলে শুভ, মো. মোতালেবের ছেলে আশরাফুজ্জামান ইমরান ও আ. ছালামের ছেলে জহিরুল হাওলাদর।

স্থানীয়রা জানান, নগরীর রিফিউজি কলোনি এলাকার লাডলা মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া কিশোরী ও তার পরিবার। ওই কিশোরীর সঙ্গে লাডলা মিয়ার ছেলে হৃদয়ের বন্ধু জব্বারের ছেলে বাপ্পীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কিশোরী বাপ্পীর বাসায় যায়।

তখন সেখানে কিশোরীর অমতে প্রেমিক বাপ্পি ও শুভ কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এ সময় অন্য বন্ধুরা তাদের সহায়তা করে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অপর ভাড়াটিয়া এক নারী বিষয়টি দেখতে পেয়ে কিশোরীকে সুস্থ করে তোলেন।

গত ১ অক্টোবর কিশোরীর পরিবারসহ উদ্ধারকারী নারীরা বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে বিষয়টি প্রচার হতে শুরু করে। তখন পুলিশ লাইনে কাজ করা কিশোরীর মা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশের পরামর্শে থানায় ধর্ষিতা মেয়েকে নিয়ে মামলা দায়ের করে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন গণধর্ষণে জড়িত বাপ্পি, শুভ, ইমরান, সোহাগ ও জহিরুল সকলে বখাটে ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তরা লাডলা মিয়ার ভাড়ার বাসার পাশে পরিত্যক্ত ঘরে মাদক ব্যবসা ও সেবন করে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ও পরিদর্শন করে ধর্ষণের বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মেয়েটির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ধর্ষণের ঘটনায় একের অধিক যুবক জড়িত রয়েছে। তবুও চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত বলা যাবে বলে জানান ওসি।

সাইফ আমীন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।