ওরা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মদ। তার মাথায় ২৮টি সেলাই পড়েছে। পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বিছানায় উঠে বসতে পারছেন না।
মাথার ক্ষত গভীর হওয়ায় তার সুস্থ হতে অনেকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গত শনিবার বন্দর উপজেলায় জামাইপাড়া এলাকার সন্ত্রাসীদের চাইনিজ কুড়ালের কোপে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
বিএনপিপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এলাকায় জনপ্রিয় এই কমিশনারকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র আইভিসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
বুধবার ঢামেক হাসপাতালের ক্যাজুয়েলটি ব্লকের দ্বিতীয়তলায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সুলতান আহম্মদ জানান, ওরা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার নগ্ন শিকার হতে হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এলাকার ভূমিদস্যু হাবিবুর রহমান বন্দর এলাকার বিএম স্কুল ও বিএম গার্লস স্কুলের শিক্ষকদের জমি কিনে দেয়ার নামে তিন বছর আগে আড়াই কোটি টাকা সংগ্রহ করে। নানা টালবাহানায় জমি বুঝিয়ে না দেয়ায় শিক্ষকরা তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি হাবিবুর রহমানকে ডেকে জমি কিম্বা টাকা দ্রুত ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান। ওই ঘটনায় সে ক্ষুব্ধ হয়।
৩১ অক্টোবর তিনি জামাইপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা ও ড্রেনের কাজ দেখতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাবিবুর রহমান, তার মেয়ের জামাই আল আমিন, সিরাজুল, শফিকুল, রফিকুল, ফরিদ, উজ্জ্বল ও সজিব হামলা চালায়। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের এক পর্যায়ে কুড়াল দিয়ে মাথায় কোপায়।
এ ঘটনায় সুলতান আহম্মদের স্ত্রী রোকসান বেগম বাদি হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ হাবিবুর রহমানের মেয়ের জামাই আল আমিনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান রোকসানা বেগম।
এমইউ/একে/পিআর