ঝুঁকি বীমা না থাকলেও মামলার সুযোগ নেই : বিআরটিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২০
ফাইল ছবি

নতুন সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৬০ এর উপধারা (১) (২) ও (৩) অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয়।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিআরটিএ চেয়াম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, হাইওয়ে পুলিশপ্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর মো. স্বাধীন খান ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিআরটিএ বরাবর আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের সূত্র ধরে বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে এ বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক ছিল। এবং এর অধীনে ১৫৫ ধারায় দণ্ডের বিধানও ছিল। তবে নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৬০ এর উপধারা (১) (২) ও (৩) অনুযায়ী-

১. যেকোনো মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে তার মালিকানাধীন যে কোনো মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্টকৃত তাদের জীবন ও সম্পদের বীমা করতে পারবে।

২. মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠানের অধীন পরিচালিত মোটরযানের জন্য যথানিয়মে বীমা করবেন এবং মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বীমার আওতাভুক্ত থাকবে। বীমাকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবেন।

৩. মোটরযান দুর্ঘটনায় পতিত হলে বা নষ্ট হলে উক্ত মোটরযানের জন্য ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিল হতে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে না।

অর্থাৎ এ ধারা অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয় এবং এ আইনের অধীনে লঙ্খন করা হলেও কোনো দণ্ডের বিধান নেই। এমতাবস্থায় তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী কোনো মামলার সুযোগ নেই।

জেইউ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।