লক্ষ্য সাড়ে ৭ লাখ, ৮ মাসে বিদেশে গেছেন ২ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। তবে বৈদেশিক কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমেছে। চলতি বছর সাড়ে ৭ লাখ মানুষকে বিদেশে চাকরির জন্য পাঠানোর কথা থাকলেও আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে মাত্র এক লাখ ৮১ হাজার ২৭৩ জনকে পাঠানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারিকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা (ভার্চুয়াল) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিসভাকে এসব তথ্য অবহিত করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে ৭ লাখ ১৫৯ জনের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়, টার্গেট ছিল সাত লাখ এক হাজার। ২০২০ সালে টার্গেট ছিল সাড়ে সাত লাখ। কোভিড-১৯ এর কারণে গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এক লাখ ৮১ হাজার ২৭৩ জনের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে।’

গত বছর এই সময় পর্যন্ত চার লাখ ছয় হাজার ৯৬২ জন বিদেশে গিয়েছিল বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

cabinet

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে রেকর্ড ১৮ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাওয়া যায়। যেটা আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আমরা কোভিডের কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম, কিন্তু এটা অনেক বেশি হয়ে গেছে, এটা একটা ভালো দিক।’

‘গত ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ৪১ হাজার ৩৬ জন কর্মী দেশে এসেছেন। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৫৮৬ জন ট্রাভেল পাস নিয়ে ফেরত এসেছেন। এদের পুনরায় ফিরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের প্রায় এক কোটির মতো মানুষ বাইরে থাকেন বা কাজ করেন। বড় সংখ্যক লোকজন ট্রাভেল করেন। ২৯ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৭৪ জন বিদেশ থেকে আসেন। এদের এয়ারপোর্টে পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে যাওয়া নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কয়েকবার সময় বাড়ানো হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন, ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন, কনসিডার করছেন আরও বাড়ানো হবে, যাতে সবাই যেতে পারে। পাশাপাশি আকামা পরিবর্তন করার একটা ব্যবস্থা করার রিকোয়েস্ট করেছেন। কারণ অনেক দেশ থেকে অনেক উদ্যোক্তা চলে গেছেন। যেখানে চাকরি করত সেখান থেকে যেন ওনারা অন্য কোথাও যায়। আমাদের বেশিরভাগ লোকই বেসরকারি সেক্টরে চাকরি করে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন, আরও বেশি করে বিমান বা সৌদিয়ার ফ্লাইট অ্যালাউ (অনুমোদন) করার জন্য। ২৪ দিনের সময় আরও বাড়াতে কথাও বলেছেন।’

বিদেশে কর্মসংস্থান এবং যারা বিদেশে গেছেন তাদের কীভাবে আরও ভালোভাবে কাজের সুযোগ করে দেয়া যায় বা কীভাবে আরও দেশে কাজের ক্ষেত্র তৈরি করা যায় সে বিষয়ে আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

আরএমএম/এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।