সংসদ ভবনের নকশা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট


প্রকাশিত: ০৫:২৬ এএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫

আমেরিকান স্থপতি লুই আই কানের তৈরি জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্স-এর মূল নকশা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদন শুনানিতে বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদেশে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নকশা দাখিল করতে বলেছেন আদালত। আদালতে বুধবার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আদেশের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পরিবেশবাদী এক সংগঠনের রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ২১ জুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন মূল নকশার বাইরে বলে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে সংসদ ভবন এলাকাকে বিশ্ব ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে ইউনেস্কোর কাছে আবেদন করার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেন। সেই আপিল শুনানিতে আদালত মূল নকশা আগামী তিন মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেন।

মুরাদ রেজা বলেন, আদালতে বলেছি- হাইকোর্টের ওই রায় ছিল অনাকাঙ্খিত। যদি সংসদ ভবন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যে অন্তর্ভূক্ত করা হয় তা হবে আমাদের জন্য অপমানজনক। পৃথিবীর কোথাও সংসদ ভবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যে অন্তর্ভূক্ত করার নজির নেই। তাছাড়া মূল নকশা না দেখে কিভাবে স্পিকারদের বাসভবনকে হাইকোর্ট অবৈধ বললো তাও বোধগম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জানা মতে মূল নকশাটি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলবেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির আর্কাইভসে রয়েছে। সংসদের মূল নকশা পেলে আমরা বাসভবন গুলোর অবস্থান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবো। তাই আদালত সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে তিন মাসের মধ্যে মূল নকশার নথিপত্র আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের মূল নকশার স্থপতি লুই আই কান। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তানে (বর্তমান পাকিস্তান) আইন সভার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন ১৯৬১ সালে। ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম (এবং শেষ) অধিবেশনে প্রথম সংসদ ভবন ব্যবহার করা হয়।

এফএইচ/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।