কুমিল্লায় দুই নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষণ : আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:২১ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তিন আসামিকে মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে প্রেরণ করলে স্বপন নামের এক ধর্ষক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের শামুকসার গ্রামে বিয়ে বাড়িতে নৃত্য পরিবেশন শেষে দুই নৃত্যশিল্পী সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা (চেঙ্গাহাটা) গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া গ্রামে ওই দুই নৃত্যশিল্পীকে কৌশলে শামুকসার এলাকার হাবিব নামের এক যুবক শামুকসার গ্রামের জনৈক স্বপনের বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে নিয়ে যায়।

পরে ওই গ্রামের মিজান মজুমদারের নবনির্মিত একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ওই দুই শিল্পীকে গণধর্ষণ করা হয়। চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ত্রিনাথ সাহা জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সোমবার আট আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শামুকসার গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে স্বপন, সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে হাবিব ও ঠাকুরগাঁও জেলার রানী শংখল উপজেলার বেদাইন গ্রামের হাকিম।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, ওই দুই ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত স্বপন মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর গ্রেফতারকৃত অপর দুইজনসহ তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

কামাল উদ্দিন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।