যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যাচ্ছে না সিএনজি
সিএনজি চালিত অটোরিক্সার নতুন ভাড়া নির্ধারণের পরও মালিক-চালকদের কাছে জিম্মি রয়েছেন যাত্রীরা। নতুন ভাড়া বাড়ানোর পর সিএনজি মিটারে চললেও এর সুফল চালক ও মালিক ছাড়া যাত্রীরা পাচ্ছেননা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, যাত্রী তথা সাধারণ মানুষের মতামত সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে মালিক-চালকদের নিয়ে মনঃপূত ভাড়া ও দৈনিক জমা নির্ধারণের পর “কেমন চলছে অটোরিক্সা?” তা পর্যবেক্ষণ করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্পটে গত ২ দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণে প্রায় ২২৫ অটোরিক্সা চালক ও ২৪৭ যাত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়। এতে ১৯৮ সিএনজি অটোরিক্সা মিটারে চলাচল করছে বলে চালক-যাত্রী প্রতিনিধিদল জানিয়েছে। বাকি ২৭ অটোরিক্সার ১০টিতে কোন মিটার পাওয়া যায় নি। ১৭ অটোরিক্সা চালক বা যাত্রীর ইচ্ছায় চুক্তিতে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার দিন বর্ধিত ভাড়া কার্যকর করায় ঐ দিন মিটার জটিলতাসহ নানা কারণে অর্ধেকেরও বেশি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে পরীক্ষার্থীসহ নগরীর যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
পর্যবেক্ষণে আরো দেখা যায়, মিটার চালু করে চলাচল করলেও অধিকাংশ অটোরিক্সা গোপনে চুক্তিতে চলাচল করছে। সরকার নির্ধারিত বর্ধিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকা হলেও মালিকরা ইচ্ছে মাফিক জমা আদায় করছে বলে জানিয়েছে চালকরা। ৯২ শতাংশ যাত্রীর অভিযোগ অটোরিক্সা চালকরা এখনো যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হয় না।
পর্যবেক্ষণকালে দেখা যায়, যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় এই বাহনের সংখ্যা কম। ফলে চালকদের ইচ্ছার কাছে যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাই কোন কোন ক্ষেত্রে বেশি ভাড়া দিয়েও গোপন চুক্তিতে যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছে যাত্রীরা। অতিরিক্ত দৈনিক জমা ও আনুসঙ্গিক খরচের পুরোটাই যাত্রীদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ থেকে জানা গেছে।
এসএ/এএইচ/আরআইপি