অ্যামনেস্টির কার্যক্রম বাংলাদেশে বন্ধের দাবি


প্রকাশিত: ০৮:৪৯ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৫

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করায় বাংলাদেশে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি । মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ জ ম শফিউল আলম ভূঁইয়া, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক জিয়া রহমান, অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

ফরিদউদ্দিন আহমেদে বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোন সময়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে ছিল না। তাদের সমস্ত কার্যক্রম বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করা হোক। তাদের এ ধরণের হটকারী বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশে তাদের যে সকল প্রতিনিধি রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।

তিনি আরো বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও কয়েকটি পশ্চিমা শক্তি সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। বাংলাদেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাচ্ছে। ঠিক তখন তাদের এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনা হচ্ছে। আর সরকারের মধ্যে একটি গোষ্ঠী এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে এদের উস্কে দিচ্ছে।’

পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু আমি বলতে চাই যখন ৭১ সালে এ দেশের সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে পাকিস্তানী বাহিনী হত্যা করছে তখন আপনারা কোথায় ছিলেন। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাবো অবিলম্বে এদের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে বন্ধ করা হোক।

এমএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।