নেতৃত্বশূন্য করতেই স্বাধীনতাবিরোধীরা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে


প্রকাশিত: ১১:৪৮ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০১৫

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন ও জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে জাতির পিতাকে হত্যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, একথা অনস্বীকার্য যে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

আবদুল হামিদ বলেন, ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আদর্শ চিরজাগ্রত থাকবে।

এই দিনে রাষ্ট্রপতি জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। যাদের বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করতে হয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার মহান স্থপতি। তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম ও আন্দোলন করে গেছেন। এই অবিসংবাদিত নেতা জেল-জুলুম উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন চার নেতা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার অবদানের কথা স্মরণ করে আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তার অবর্তমানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন মুজিবনগর সরকার গঠন, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকা- ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে জাতীয় চার নেতা অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাদের চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

তিনি বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে, এটাই হোক জেলহত্যা দিবসে সকলের অঙ্গীকার। তিনি জেলহত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।