নজিরবিহীন নিরাপত্তায় ভোগান্তি চরমে


প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০১৫

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে আওয়ামী লীগের ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে নজরিবিহীন নিরাপত্তায় নগরবাসীর যেন ভোগান্তির অন্ত ছিল না। সোমবার দুপুরের পর থেকেই সমাবেশস্থলকে ঘিরে এর আশেপাশের এলাকা যেন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশের বাড়তি তল্লাশিতে সাধারণ মানুষকে নানা ধরণের হয়রানিতে পড়তেও দেখা গেছে।

সোমবার দুপুরে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের চলমান পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির আসন্ন কাউন্সিল উপলক্ষে সমাবেশটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে বাড়তি জমায়েতের নির্দেশনা ছিল আগে থেকেই। নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা এবং এর আশেপাশের জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে উপস্থিত হতে থাকেন। দুুপুরের পর থেকে এই জমায়েত কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাবেশে অংশ নেয়া গাড়ির বহরগুলো ফার্মগেট, মালিবাগ, মতিঝিল, গুলিস্তান এবং অ্যালিফেন্ট রোড হয়ে সমাবেশস্থল পর্যন্ত জটলা পাকায়। এসব পরিবহণগুলো রাস্তার দু’পাশে অবস্থান নেয়ায় দুপুরের পর থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে নগরীতে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি অন্যান্য পরিবহন চলাচলও ব্যাহত হয়।

এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশের অধিক তল্লাশিতে সাধারণ মানুষেরা নানা ভোগান্তিতে পড়েন। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই রিকশা, অটোরিকশা এমনকি বাস থেকে নামিয়ে সাধারণ যাত্রীদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে। একই কারণে দুপুর আড়াইটার পর থেকে শাহবাগের সকল রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে পুরো নগরীতে যানজট আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

পাবনা থেকে মাইক্রোবাসে করে রোগী নিয়ে এসেছেন তোরাব আলী। হোটেল রূপসী বাংলা মোড়ে তাকে থামিয়ে দিয়ে মিন্টু রোড হয়ে ঢাকা মেডিকেলে যেতে বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, আগে জানলে এই অবস্থায় ঢাকায় রোগী নিয়ে আসতাম না। গাবতলী থেকে এখানে আসতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগেছে। এখন আবার অন্য রাস্তায় যেতে বলছে। ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

সোমবার সকাল থেকে তল্লাশি বেড়ে যায় এমনটি উল্লেখ করে সিএনজি চালক হামিদ বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কোনোদিন পড়তে হয়নি। গাড়ি চালানোই মুশকিল হয়ে পড়েছে। সারাদিনই যানজট ছিল। এর মধ্যে পুলিশের তল্লাশির নামে হয়রানি। যাত্রীরাও বিরক্ত।

এএসএস/এমএম/একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।