মসজিদে বিস্ফোরণ : এখনো শঙ্কামুক্ত নন চিকিৎসাধীন ৫ জন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন। এখনও চিকিৎসাধীন পাঁচজন। তবে তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
রোববার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় যে পাঁচজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) আছেন, তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
তিনি বলেন, তাদের কয়েকজনের শরীরে দগ্ধ হওয়ার অংশের পরিমাণ কিছুটা কম। তাদের অবস্থাও আগের চেয়ে কিছুটা উন্নত। কিন্তু শ্বাসনালী দগ্ধ হওয়ায় তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
আইসিইউতে চিকিৎসাধীন পাঁচজন
দগ্ধদের মধ্যে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার মনু মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজের (৪০) শরীরের ৪৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনি পেশায় লন্ড্রি ব্যবসায়ী। তার এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবু সাঈদ (১৬) ও মেয়ে সামিয়া (১০) দুজনই মাদরাসার শিক্ষার্থী।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আব্দুল আহাদের ছেলে আমজাদ হোসেনের (৩৯) শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনি একটি পোশাক কারখানার গাড়িচালক। তিনি আইসিইউতে ১৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন।
আমজাদের ভাই মোহন মিয়া জানান, নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় থাকতেন আমজাদ হোসেন। রাইচা (৫) নামে এক কন্যাসন্তানের জনক তিনি।
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন সিফাতের (১৮) শরীরের ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে। স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি চেষ্টা করছিলেন তিনি। তার বাবা মো. স্বপন শেখ ডেকোরেটরের কাজ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আসিয়ান ডাঙ্গরী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. ফরিদের (৫৫) শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আইসিইউয়ের ২০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। পেশায় কৃষিকাজ করেন গ্রামে। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।
তার স্ত্রী রীনা বলেন, ঘটনার আগের দিন বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মেয়ে খাদিজার বাসায় বেড়াতে আসেন মো. ফরিদ।
পটুয়াখালীর চুন্নু মিয়ার ছেলে মো. কেনান (২৪) গার্মেন্টকর্মী। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লায় পরিবার নিয়ে থাকেন। তার এক ছেলে রয়েছে। নাম রাফি (২)।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় মসজিদে অন্তত ৫০ জন মুসল্লি ছিলেন। আগুনে গুরুতর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
বিএ/পিআর