ইব্রাহিম মেডিকেলে আসন সংখ্যার ২২ গুণ আবেদন


প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০১৫

ছেলেটির নাম নুরুল করিম। সোমবার সকালে তাকে রাজধানীর শাহবাগে বেসরকারি ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আশরাফুল হকের কক্ষের বাইরে করিডোরে পায়চারী করতে দেখা গেল। সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির স্বপ্ন নিয়ে পরীক্ষা দিলেও সুযোগ পাননি। ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে সাধারণ আসনের প্রথম ৮৫ জনের তালিকায় ঠাঁই না হলেও অপেক্ষমান তালিকার ১০ নম্বরে আছেন।

সোমবার ছিল বেসরকারি ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে মেধা তালিকা অনুসারে সুযোগপ্রাপ্তদের ভর্তির শেষ দিন। দুপুর ২টার পর নুরুল করিম জানতে পারবেন তিনি ভর্তির যোগ্য কি না। আর তাইতো অপেক্ষার প্রহর গুণছেন তিনি।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেল,  চলতি বছর (২০১৫-২০১৬) শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য আসন সংখ্যার তুলনায় ২২ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। সাধারণ কোটায় মাত্র  ৮৫টি আসন থাকলেও আবেদনপত্র জমা পড়েছে মোট ২ হাজার ২৬টি। গত ২৯ অক্টোবর ভর্তি শুরু হয়।  আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত ভর্তির শেষ সময় ছিল।
 
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক জালালউদ্দিন আশরাফুল হক ইতোমধ্যেই কলেজের নোটিশবোর্ডে মেধাতালিকার ভিত্তিতে সুযোগপ্রাপ্ত প্রথম ৮৫ জন ও অপেক্ষমান তালিকায় ১৮৪ জন নাম ও রোল নম্বর  টাঙিয়ে দিয়েছেন। সাধারণ আসন ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩ জন ও অপেক্ষমান তালিকায় তিন জনকে নির্বাচিত করা হয়।
 
সকালে সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ব্যাংক ড্রাফট ও প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ আবার অপেক্ষমান তালিকা থেকে কতজন সুযোগ পাচ্ছে তা জানতে এসেছেন।

অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, অগ্রীম একমাসের বেতনসহ মোট ১৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্র্রতিমাসে বেতন ৭ হাজার ও হোস্টেল আবাসন বাবদ প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা দিতে হবে।

অমৃতা সরকার নামে একজন শিক্ষার্থীর মা জানান, তার মেয়ে ভিকারুন নেসা নুন কলেজ থেকে পাস করেছেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে। সে তালিকায় সুযোগ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় তিনি মেয়েকে ভর্তি করাতে চাচ্ছেন।
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক জানান, তার ছেলের অপেক্ষমান তালিকায় নম্বর ১শ’য়ের বেশি । তিনি বলেন, ছেলের খুব শখ কিন্তু সে এখানে ভর্তি হতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবুও ছেলের মন যোগাতে খোঁজ নিতে এসেছেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য ২০০২সালে বেসরকারি এই মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়।

এমইউ/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।