আ.লীগের সমাবেশ : যানজটে অতিষ্ঠ ঘরমুখো মানুষ
রাজধানীতে অসহনীয় যানজট দেখা দিয়েছে। অফিস ফেরত পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ ও ঘরমুখো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বের হয়ে পড়েছেন তীব্র যানজটে। যানজটের কারণে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় অস্বস্তিতে রাজধানীবাসী।
ট্রাফিক সংশ্লিষ্ট ও ভুক্তভোগীরা জানান, জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এ সমাবেশের কারণে পুরো রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
রাজধানী ও ঢাকার আশপাশ এলাকা থেকে ট্রাকে বাসে, লঞ্চে এবং ট্রেনে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে যোগদান করতে সমাবেশ স্থলে রওয়ানা হয়।
বিকেল ৪টার পর থেকে শাহবাগ কারওয়ানবাজার, মগবাজার, পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তান রোডে তীব্র যানজট দেখা দেয়। বিশেষ করে হাতিরঝিল-সংলগ্ন মগবাজার ও মহাখালী রুটে যানজট চরম আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাবে অন্য সড়কেও দেখা দিয়েছে যানজট। এ কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ট্রাফিক পুলিশ জানায়, সমাবেশের কারণে রাস্তায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মানুষ হেটে সমাবেশে যাচ্ছে। আবার ফিরছে। সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানজট কমবে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাতিরঝিল ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ লাইন দিয়ে যানবাহনে উঠার জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেও সহসা উঠতে পারছেন না।
গুলিস্তান থেকে উত্তরাগামী বাসগুলোকে মগবাজার হাতিরঝিল রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এমনকি রেললাইনের উপরেও দাঁড়িয়ে আছে বাস।
সবুজ নামে এক যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, পৌনে এক ঘন্টার পর একটা বাস পেয়েছি। কিন্তু রাস্তায় যানজটের কারণে বাস দাঁড়িয়ে আছে। অনেক যাত্রী বিরক্ত হয়ে যানবাহন ছেড়ে হাঁটা শুরু করেছেন।
গুলশানের যেসব যাত্রী হাতিরঝিল হয়ে মগবাজারে নিয়মিত যাতায়াত করেন তারা যানজটের কারণে মহাখালী হয়ে রওয়ানা দিয়েছেন । তবে নাবিস্ক মোড় এলাকার সড়কেও তীব্র যানজট। সে কারণে অগত্যা যানবাহনে বসে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই যাত্রীদের।
কারওয়ান বাজারে রোখসানা নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বাসও পাচ্ছি না। আবার যানজটের কারণে সিএনজিও যাচ্ছে না। বিড়ম্বনায় আছি রে ভাই’।
ট্রাফিক উত্তর উপ-কমিশনার হিসেবে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায় জানান, হঠাৎ করে রাজধানীতে মানষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যানজট দেখা দিয়েছে। যানজট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (তেজগাঁও) মো. আবু ইউসুফ বলেন, রাস্তার অন্যান্য দিনের চাইতে যানবাহনের সংখ্যা বেশি। সে কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তবে আমরা যানবাহন চলাচল সচলে চেষ্টা করছি। সাড়ে ৫টার পর থেকে এই রুটে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলছে বলে জানান তিনি।
জেইউ/এসকেডি/পিআর