সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইউএনওর ওপর হামলার তদন্ত চলছে : আইজিপি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার মামলা সর্বোচ্চ শক্তি, সতর্কতা ও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বুধবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আইজিপি বলেন, আমরা ঘটনাটি সর্বোচ্চ শক্তি এবং সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করছি। এ ঘটনায় যে বা যারাই দায়ী হোক, তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে। এ বিষযে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে সকালে ইউএনও ওয়াহিদাকে হাসপাতালে দেখতে যান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওয়াহিদা তার এলাকার মেয়ে। তিনি শুরু থেকেই খোঁজ-খবর রেখেছিলেন। বর্তমানে ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থা ভালো। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টা-সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা।
পরদিন সকালে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।
গত শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম (৪২), উপজেলা যুবলীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আসাদুল হক (৩৫), শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা আদুর ছেলে মাসুদ রানা (৪০), নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রংমিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার খোকার ছেলে সান্টু চন্দ্র দাস(২৮)। পরে আসাদুল হক, নবিরুল ইসলাম ও সান্টু চন্দ্র দাস র্যাবের কাছে ইউএনওর ওপর হামলার দায় স্বাকীর করেন।
এআর/এমএসএইচ/জেআইএম