প্রকাশক দীপন হত্যার ঘটনায় মামলা
রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনার স্বত্ত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে নিহতের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে, মামলার তদন্তকর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শাহীন ফকিরকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দীক। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, নিহতের স্ত্রী নিজে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩। মামলা অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনার স্বত্ত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে মার্কেটের তৃতীয় তলার ১৩২ নম্বর দোকান থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঢামেকের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালিটি) কে এম রিয়াজ মোর্শেদ সন্ধ্যা ৭টায় দীপনকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করেন। দীপনের ঘাড়ের পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানান রিয়াজ মোর্শেদ।
এদিকে ওই দিন রাতেই দীপন হত্যার দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম নামের একটি সংগঠন। তারা নিজেদের আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) দাবি করে। রাত ৯টার দিকে টুইটারে এ দায় স্বীকার করে তারা। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়। তাতে লেখা ছিল- ‘আমরা আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা এ হত্যার দায় স্বীকার করছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফয়সাল আরেফিন দীপনের স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক। তার দুই ছেলে-মেয়ে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে চলমান জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্থী। আর মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একুশের বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই হামলায় আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। জাগৃতি থেকে অভিজিৎ রায়ের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামের দুটি বই প্রকাশিত হয়।
এআর/জেইউ/আরএস/পিআর