‌‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মসজিদে বিস্ফোরণের মামলার তদন্ত চলছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২১ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার মামলার তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

রোববার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বিস্ফোরণে দগ্ধদের দেখার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ডিআইজি হাবিবুর বলেন, নারায়ণগঞ্জে মসজিদে যে ঘটনা ঘটেছে এটা খুবই দুঃখজনক, খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিও হয়েছে। তদন্তে যাদের গাফলতি প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, মসজিদের নিচে গ্যাসের লাইন আগে থেকে ছিল কি-না এসব বিষয় দেখা হচ্ছে। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারের কোনো ত্রুটি আছে কি-না, মসজিদ কমিটি গ্যাসের লাইন থাকার পরও মসজিদটির নির্মাণ করেছে কি-না সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন। ঘটনার সাথে জড়িতের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। তবে গাফিলতির বিষয়টি তদন্তের পরে জানা যাবে। এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

এ সময় উপস্থিত ঢাকা জেলার বিভাগীয় কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সেই তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরিষ্কার বোঝা যাবে আসলে বিস্ফোরণের ঘটনাটি কেন কীভাবে হলো। এছাড়া আক্রান্তদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। অন্যান্য তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে অর্থ সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানো হবে।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়াহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর। মৃতের তালিকায় রয়েছেন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনও। রোববার রাতে মারা যান মসজিদের ইমাম। এ ঘটনায় সর্বশেষ রোববার আবুল বাসার মোল্লা (৫১) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৫ জনের মৃত্যু হলো।

এদিকে প্রাথমিকভাবে এসি নয়, গ্যাসলাইন থেকে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানান তিনি।

এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস একটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এআর/এমএসএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।