টাঙ্গাইল উপ-নির্বাচন : স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়লো


প্রকাশিত: ০৪:০৩ এএম, ০২ নভেম্বর ২০১৫

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হাইকোর্টে জারি করা রুলটি ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের করা আপিল আবেদনের শুনানি করে সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির এই দিন ঠিক করেন।
 
আদালতের শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ ছিলেন, ব্যারিস্টার ড. মো. ইয়াসীন খান, তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শানজানা ইয়াসীন খান।  ইসির পক্ষে পারসোনাল ক্যাপাসিটিতে (ব্যক্তিগত ক্ষমতায়) শুনানি করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।

গত ২৬ অক্টোবর সোমবার কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে নির্বাচন কমিশন। এদিকে গত ২১ অক্টোবর তার মনোনয়ন পত্র গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর মনোয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশন ও রিটানিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত স্থগিত ঘোষণা করেছেন আদালত।

এর আগে ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। রিট আবেদনে বলা হয়, ঋণখেলাপির অভিযোগে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা অবৈধ। কেননা, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনঃতফসিল করায় কাদের সিদ্দিকী ঋণখেলাপির অন্তর্ভুক্ত হননি।

গত ১৩ অক্টোবর ঋণখেলাপির অভিযোগে নির্বাচন কমিশন এ আসনের উপনির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও নাসরিন কাদের সিদ্দিকী পরিচালক। ঋণখেলাপি হওয়ায় তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

১০ নভেম্বর টাঙ্গাইলের-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চেম্বার জজ আদালতের আদেশের ফলে এখন নির্ধারিত দিন নির্বাচন হচ্ছে না।

এফএইচ/এআরএস/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।