নিউরোসায়েন্সে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সরকারি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে গেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা সেখানে যান।
এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান, বিসিএস সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এলজিআরডি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ও স্থানীয় সরকারের এডিশনাল সেক্রেটারি মেসবাহ উদ্দিন।
সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারিরীক অবস্থা শংকটাপন্ন। এ অবস্থায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসায় মেডিসিন বিভাগ ও নিউরো ট্রমা বিভাগের সমন্বয়ে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জাহেদ হোসেন। তথ্যটি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওয়াহিদা খানম আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। তার অবস্থা খুবই শঙ্কটাপন্ন। মাথায় ভারি জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যার ফলে তার মাথার হাড় ভেঙ্গে মস্তিষ্কে চাপ লেগেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থাও নেই।
এদিকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। রাত ৯টায় তার মাথায় অস্ত্রোপচার করার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে বিকেল তিনটায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ইউএনওর সরকারি আবাসিক ভবনে ঢুকে ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
এ সময় তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুরে পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।
জেইউ/এসএইচএস/এমকেএইচ