অন্তঃসত্ত্বা সেই স্কুলছাত্রীর সিজার করে বাচ্চা অপহরণ


প্রকাশিত: ০২:১০ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০১৫
প্রতীকী ছবি

অপহরণের দশ দিন পর যশোরে গৃহকর্তার ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা সেই স্কুল ছাত্রীর সন্ধান মিলেছে। শনিবার রাতে তাকে ঢাকার গাবতলী এলাকায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এর আগেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার সন্তানটিকে নিয়ে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় রোববার সকালে মেয়েটি ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে বিকেলে বেনাপোলে মামার বাড়িতে পৌঁছেছে। তবে কে বা কারা তাকে অপহরণের পর সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করালো সেটি ভিকটিম বলতে পারেনি। গত ২৩ অক্টোবর যশোর শহরের বারান্দীপাড়া এলাকা থেকে অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি অপহরণের শিকার হয়।

এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর মেয়েটির মা বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোরের ঝিকরগাছার বাকুড়া এলাকার দাউদ সরদারের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। মেয়েটি তার বাড়িতে কাজ করতো। এ অভিযোগে গত ২০অক্টোবর দাউদ সরদারকে আসামি করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল যশোরে মামলা করা হয়। মামলার নম্বর পিং-২২৮/১৫। এরপর গত ২৩ অক্টোবর মেয়েটি শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় অপহরণের মামলা করেন। মামলার নম্বর ১২৩। ডাক্তারি রিপোর্টে মেয়েটির আগামী ৫ নভেম্বর ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উদ্ধার হওয়া ভিকটিমের উদ্ধৃতি দিয়ে তার মামা জাকির হোসেন জানান, অপহরণের পর কে বা কারা মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে একটি বাড়িতে রেখে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করিয়েছে কয়েক দিন আগে। শনিবার রাতে অপারেশনের স্থানের সেলাই কেটে দেয়া হয়। এরপর গভীর রাতে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার গাবতলী এলাকায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ভোরে মেয়েটির কান্নাকাটি দেখে সেখানকার লোকজন বেনাপোলগামী বাসের টিকেট কেটে তুলে দেয়। রোববার বিকেলে মেয়েটি বেনাপোলে এসে পৌঁছেছে।

যশোর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য জানান, মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেছে। সিজারের মাধ্যমে প্রসব করিয়ে তাকে ফেলে রেখে গেছে। সন্তানের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঝিকরগাছা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছি। মেয়েটি আগে সুস্থ হয়ে উঠুক। এ ঘটনায় আমরা হাল ছাড়ছি না। আইনি লড়াইয়ে মেয়েটির পাশে থাকবে মহিলা পরিষদ।

ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ওসি মোল্যা খবির আহমেদ জানান, মেয়েটির মামার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন মেয়েটিকে পাওয়া গেছে। তাদেরকে থানায় আসতে বলেছি।

তিনি আরও জানান, ধর্ষণের মামলার তদন্ত চলছে। মামলার আসামি দাউদ সরদার হজে গেছেন। এখনও তিনি ফেরেননি।

মিলন রহমান/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।