ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি, ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
অডিও শুনুন
চট্টগ্রামের রাউজান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে মামলাটি করেন আঁধারমানিক গ্রামের অরবিন্দু চৌধুরীর ছেলে রাজ গোপাল চৌধুরী। সম্প্রতি ওসি কেফায়েত উল্লাহ রাউজান থানা থেকে বদলি হন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক টুটুন মজুমদার, পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আঁধারমানিক গ্রামের সুনীল দাশের ছেলে রাজীব দাশ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন জানান, রাউজানের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আঁধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা সুনীল দাশের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন আগে বাদীর বাবা একই গ্রামের অরবিন্দু চৌধুরী ৬১ শতক সম্পত্তি কিনে ভোগদখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি সুনীল দাশের ছেলে রাজীব ওই সম্পদ জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালান। গত ১৩ ও ১৪ আগস্ট দুই দফায় বাদীর সম্পত্তিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের ৪৩টি গাছ নিয়ে যান রাজীব। এ সময় বাদী ৯৯৯-এ ফোন করে সহযোগিতা চাইলে তাকে শান্ত থাকতে বলা হয়। রাউজান থানার ওসি কেফায়েত ও এসআই টুটুন এবং ইউপি চেয়ারম্যান রাজীবকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছিলেন বলে মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরও জানান, পরে নিজের পৈতৃক সম্পদ রক্ষায় রাজীবকে বাধা দিলে বাদীকে ঘরে তালা দিয়ে রাখা হয়। পরে রাউজান থানার এসআই সুজন দে রাজ গোপালের গিয়ে ঘরের তালা খুলে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় রাউজান থানার ওসি কেফায়েতসহ অভিযুক্তরা পরস্পরের যোগসাজশে তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, নয়তো তাকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর রাতে ঘরে ঢুকে টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়া এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রাউজান থানার ওসি কেফায়েতসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা আরও একটি মামলায় চট্টগ্রামের আদালতে বিচারিক তদন্ত চলছে।
আবু আজাদ/এমএসএইচ/এমএস