বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের বিচারে কমিশন গঠনের দাবি সর্বমহলের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২০

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের পূর্ব পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আবার ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। মূলত ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একসূত্রে গাঁথা।

তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারে একটি কমিশন গঠন করা এবং অপরাধীদের মরণোত্তর বিচারের ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে সর্বমহলের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে।

শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) জহির রায়হান প্রজেকশন হলে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ফাল্গুনী হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ১২ হাজার শিল্পী-সংস্কৃতিসেবীকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতিচর্চার প্রসার ও বিকাশে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে কে এম খালিদ বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যেখানে থাকবে আধুনিক সিনেপ্লেক্সও।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১০০টি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে যা চলতি বছরেই একনেকে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জোটের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, নবীন কিশোর গৌতম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আশরারুল হাসান আশু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আকবর বাবলা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বঙ্গমাতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান সোহাগ, আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এমাদুল হক খান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড্যানি সিডাক।

এমইউ/বিএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।