শোকে কাতর ছেলেটির পরীক্ষা আজ
দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় ছেলের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) আজ (রোববার)। নিহত বাবার শোকে কাতর ছেলেটি পরীক্ষা দিতে পারবে তো? এমনটাই প্রশ্ন এখন পরিবারের সকলের।
শনিবার বিকেলে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন রাজধানীর শাহবাগস্থ আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার ১৩১ নম্বর রুমে নিজ কার্যালয়ে যান। এরপর তাকে হত্যাকরে দুর্বৃত্তরা।
দীপনের স্ত্রী পেশায় একজন ডাক্তার। দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় ছেলের জেএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আজ থেকে। আর ছোট মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ছেলের পরীক্ষার আগের বিকেলেই তার বাবাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে পিতৃশোকে কাতর ছেলেটি তার জেএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে তো?
পরীক্ষা দিলেও কীভাবে দেবে সে তার জীবনের দ্বিতীয় পাবলিক পরীক্ষা। কিংবা কতটুকু ভালো করবে আজকের পরীক্ষায়? অথবা তাকে কে দেখভাল করবে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে।
এদিকে ছেলে হত্যাকারীদের বিচার চান না বলে সাংবাদিকদের জানান দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, এ দেশের আদালতে বিচার হয় না। তবে এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি মামলা করবেন।
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, এদেশের আদালতে বিচার চেয়ে লাভ কী? মানুষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। শুধু নিয়ম অনুযায়ী আদালতে ছেলে হত্যার একটি মামলা করবো। আশা করি উভয় পক্ষেরেই শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
তিনি বলেন, আমার ছেলের কোনো শত্রু ছিল না। তাকে কেউ কখনো হুমকিও দেয়নি। তাহলেও সে অন্তত আমাকে জানাতো।
এদিকে দীপন হত্যার দায় স্বীকার করে গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ) নামে একটি জঙ্গি সংগঠন।
এমএইচ/বিএ