বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠায় বঙ্গমাতার অনেক অবদান

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২০

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনেক অবদান ছিল। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্ম নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বঙ্গবন্ধুর রচিত তিনটি ঐতিহাসিক বই 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', 'কারাগারের রোজনামচা' ও 'আমার দেখা নয়াচীন'। এ তিনটি বই লেখায় বঙ্গবন্ধুকে যিনি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি তাঁরই সহধর্মিণী ববঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর ও মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম সহযোদ্ধা। জাতির পিতার রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সর্বক্ষণের সহযোগী ও অনুপ্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা ছিলেন ত্যাগ ও সুন্দরের সাহসী প্রতীক।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী। তাঁরই প্রত্যক্ষ মদদে ও পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি তথাকথিত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী জাসদও বঙ্গবন্ধু হত্যায় প্ররোচনা জুগিয়েছিল। যদিও জাসদ এটিকে তাদের ঐতিহাসিক ভুল বলে অ্যাখ্যা দেয়।

'৭৫ পরবর্তী ৬ বছর জাতি নেতৃত্বশূন্য ছিল উল্লেখ করে কে এম খালিদ বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে এদেশের হাল ধরেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি বলেন, জাতির পিতা কৃষিবিদদের যোগ্য সম্মান দেখিয়ে দেশে কৃষি বিপ্লব সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ কৃষি বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে এবং খাদ্য ঘাটতির দেশ হতে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ রওনক মাহমুদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা। আলোচনায় আরও অংশ নেন সংসদ সদস্য হোসনে আরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃষিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

এমইউ/এনএফ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।