বিপ্লব উদ্যানে শর্ত লঙ্ঘন করে স্থাপনা, দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্মৃতি স্থান চট্টগ্রাম নগরের বিপ্লব উদ্যানে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে শর্ত লঙ্ঘন করে স্থাপনা নির্মাণ ও রাস্তা সংকোচন করায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।
মঙ্গলবার (২৫ আগষ্ট) বিকেলে বিপ্লব উদ্যান সরেজমিনে পরিদর্শন করে তিনি এ নির্দেশ দেন। এর আগে বিকেলে নগরের টাইগারপাস অস্থায়ী কার্যালয় থেকে স্কুটিযোগে তিনি নগরীর ২ নম্বর গেইটের বিপ্লব উদ্যানে যান। এ সময় চলার পথে রাস্তায় গর্ত দেখে সেগুলো দ্রুত ভরাট করার জন্য প্রকৌশলীদের তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন তিনি।
বিপ্লব উদ্যান পরিদর্শনকালে প্রশাসক অভিযোগ করে বলেন, “চুক্তিতে ১৫০ বর্গফুটের দোকান করার কথা থাকলেও প্রতিটি দোকান ২০০ বর্গফুটে বর্ধিত করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে দোকানের সিট বসানো হয়েছে। এছাড়াও চুক্তির শর্ত লংঘন করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দোকান বসানো হয়েছে; যা চুক্তির বরখেলাপ।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে নগরবাসীর বিনোদনের অন্যতম এ কেন্দ্রটিতে প্রাকৃতিক কোনো পরিবেশ নেই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চুক্তির বাইরে গিয়ে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক চিন্তা ভাবনায় এই কাজ করতে দেয়া যায় না। ”
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ নভেম্বর রিফর্ম লিমিটেড ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্ট লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে চসিক এ উদ্যান ২০ বছরের জন্য ইজারা দেয়। প্রতিষ্ঠান দুটি নিজেদের অর্থায়নে উদ্যানটি আধুনিকায়ন করছে। অর্থায়নের খরচ আদায়ের নামে সিটি করপোরেশন সেখানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। সে সময় থেকে নগরের উন্মুক্ত উদ্যানটিতে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের সমালোচনা করেছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, “চসিকের সকল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শুধুমাত্র নগরবাসীর স্বার্থে। চসিকের সৌন্দর্যবর্ধন ও নগরায়নে জনগণের স্বার্থ দেখে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। কেউ যদি নগরবাসীর স্বার্থের বিপরীত কর্ম সম্পাদনে লিপ্ত হয় তাদের আজকের এই কর্মসূচি থেকে সাবধান হওয়া উচিত।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক।
আবু আজাদ/এনএফ/এমকেএইচ