করোনাকালে নিরাপদ-পুষ্টিকর খাবার বিপণন নিশ্চিতে নতুন প্রকল্প
দেশব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ এবং সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ‘ইটসেইফ: ইভিডেন্স অ্যান্ড অ্যাকশন টুওয়ার্ডস সেইফ, নিউট্রিয়াস ফুড: কোভিড-১৯ রেসপন্স’ নামে নতুন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইসপ্রুভড নিউট্রিশনের (গেইন) উদ্যোগে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বেসরকারি সংস্থা ‘উন্নয়ন সংঘ’ এবং ‘আরকেড ফাউন্ডেশন’। প্রকল্পটি ইউএসএইড’র আর্থিক সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে।
আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) সরকারি টিসার্চ ট্রেনিং কলেজের বিজ্ঞান ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আ স ম ফেরদৌস আলম। আন্তর্জাতিক সংস্থা গেইন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে জনসাধারণের মাঝে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার সরবরাহ বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার সরবরাহ ও বিপণন ব্যবস্থাকে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে করা যায়- তা নিয়ে করণীয় ঠিক করতে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ও ইসলামপুরের কাঁচাবাজার কমিটির নেতৃত্বে খাদ্যপণ্য সরবরাহকারী, বিপণনকারী, ক্রেতা ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
ঢাকা নিউমার্কেটের বনলতা মার্কেট বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গেইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার, বনলতা মার্কেট বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সম্রাট নাসের খালেক, সরকারি টিসার্চ ট্রেনিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মমতাজ শাহানারা প্রমুখ।
আ স ম ফেরদৌস আলম বলেন, ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্যের পর্যাপ্ত প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ আরও জরুরি এবং বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে ডা. সম্রাট নাসের খালেক বলেন, খাবারের গুণগত মান বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় উদ্যোগ ও সচেতনতার ওপর আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আমরা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে গেইনকে সার্বিক সহযোগিতা করবো এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাজারে কোভিড-১৯ বিষয়ক একটি রেসপন্স কমিটি গঠন হবে।
ডা. রুদাবা খন্দকার এই প্রকল্পের কার্যক্রমে এগিয়ে আসায় সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটি ও স্টেকহোল্ডারদের সাধুবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা করোনা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে খাদ্যে উৎপাদন বহুমুখীকরণ, পুষ্টিমানের যথাযথ উপস্থিতি, প্রোটিনের মান ও নিরাপদ খাবার সরবরাহে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এমইউ/এইচএ/এমএস