বৃষ্টিবিঘ্নিত ছুটির দিনেও শপিংমলে ক্রেতার ভিড়

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২০

শুক্রবার, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। নিউ মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুর রশীদ। রিকশাচালককে জিজ্ঞাসা করলেন মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোড যাবে কি না। ভাড়া একটু বেশি বললেও গেটের ছাউনিতে অপেক্ষমাণ স্ত্রীকে ডেকে দ্রুত রিকশায় উঠতে বলেন।

আলাপকালে আবদুর রশীদ বলেন, বেসরকারি চাকরি করি। সপ্তাহের অন্যকোনো দিন স্ত্রীকে নিয়ে মার্কেটে আসার সুযোগ হয় না। ছুটির দিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত আবহাওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে আসতেই হলো। দুপুরের পর আবহাওয়া ভালো দেখেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এখন রিকশা খুঁজে পাচ্ছি না।

এ সময় নিউ মার্কেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা ক্রেতাদের কেউ রিকশা, কেউ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করতে কেউবা মোবাইল ফোনে পার্কিং থেকে গাড়ির ড্রাইভারকে গেটের সামনে আসার তাগাদা দিচ্ছিলেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দ্রুত শপিং সেরে সবাই বাসা ফিরে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজছিলেন।

dhaka

আজ নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমণ্ডি, হাতিরপুল এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে ছিল ক্রেতাদের বেশ ভিড়। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও আকাশ মেঘলা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ছোট-বড় শপিংমল ও মার্কেটে ক্রেতাদের বেশ ভিড় ছিল। বেচাকেনাও খুব ভালো বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এলিফ্যান্ট রোডের এক পোশাক বিক্রেতা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে ছুটির দিন ছাড়াও অন্যান্য সময়ে খুব বেশি ক্রেতার সমাগম হয় না। বেচাকেনাও মোটামুটি হয়। কিন্তু শুক্রবারের কারণে বেশ ক্রেতার সমাগম হয় এবং বেচাকেনাও ভালো হয়।

dhaka

আজ সকাল থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শপিংমলে ক্রেতা হবে না ভাবলেও তবুও ক্রেতাদের বেশ উপস্থিতি ছিল ও বেচাকেনাও ভালো হয়েছে বলে জানান।

ক্রেতাদের আগমনে রাস্তাঘাটে অন্যদিনের চেয়ে যানবাহনের সংখ্যাও ছিল অনেক বেশি। কোথাও কোথাও অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে ছোটখাট যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

এমইউ/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।