বন্যায় এ পর্যন্ত সাড়ে ১৯ হাজার টন চাল বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৫ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২০

সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১২ হাজার ৯৪৮ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনগুলো থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চার কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ৯৫ লাখ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে এক কোটি ছয় লাখ টাকা। গো-খাদ্য কেনার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ৮৪২ প্যাকেট।

এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪০০ বান্ডিল এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।

ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে বলেও তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।

বন্যাকবলিত উপজেলা ১৬০টি এবং ইউনিয়ন এক হাজার ২৬টি। পানিবন্দি পরিবার ৭ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৮টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৭ জন।

বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৩টি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রিত মানুষের সংখ্যা ২৩ হাজার ৪১৫ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৬২ হাজার ৬৩২টি। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ৮৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, মেডিকেল টিম চালু আছে ২৪১টি।

আরএমএম/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।