পোল্ট্রি খামার করে স্বাবলম্বী ঈশ্বরদীর জাহাঙ্গীর
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশিউর রহমান জাহাঙ্গীর বেকারত্বের সঙ্গে লড়াই করে এখন একজন সফল পোল্ট্রি খামারি। মুলাডুলি ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের মৃত মজিদ খানের ছেলে মো. মশিউর রহমান জাহাঙ্গীর। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর দ্বিতীয়।
এসএসসি পাশ করার পর যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০১ সালে ৫০০ মুরগি দিয়ে পোল্ট্রি খামারের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এরপর তার আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। নিজ বসতবাড়ির পাশেই পোল্ট্রি খামার করে সংসারের অর্থের যোগান দেন জাহাঙ্গীর।
জাহাঙ্গীর জানান, বেকার থাকা অবস্থায় এলাকার বন্ধুদের পরামর্শে যুব উন্নয়ন থেকে পোল্ট্রি, গবাদি পশু ও মাছের প্রশিক্ষণ নেয়। প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতেই ৫০০টি মুরগি একটি খামার গড়ে তোলেন। সেই থেকে আর থেমে থাকেননি জাহাঙ্গীর। এরপর থেকে তিনি তার খামারকে প্রসারিত করতে থাকেন। বর্তমানে তার খামারে ৯০০ মুরগি রয়েছে। প্রতিদিন তিনি তার খামার থেকে ৮০০ মতো ডিম পেয়ে থাকেন। বর্তমানে মুরগীর খাবার এবং ওষধের মূল্য অনেক বেশি তাই খামামিদের লাভ কম হচ্ছে। ডিমের মূল্য বৃদ্ধি হওয়া দরকার বলেও জানান জাহাঙ্গীর।
সোয়াত পোল্ট্রি খামারের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আরো বলেন, আর্থিক অবস্থা এবং খামার দেখে অনেক বেকার যুবক পোল্ট্রি ও গবাদি পশুর খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছে। আগামীতে খামারটি প্রসারিত করতে চাই। সহজ শর্তে কোনো ব্যাংক, বীমা ও এনজিও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে আমার খামার প্রসারিত করে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। একই সঙ্গে এলাকার বেকার ছেলেদের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার ইচ্ছেও আমার রয়েছে।
খামারের পাশের রাস্তা খারাপ হওয়াতে ডিম ও মুরগি বাজারে আনা-নেওয়ার সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় ডিম ভেঙে যায়। আর এতে করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলেন, জাহাঙ্গীর পোল্ট্রি খামার করে এখন মুলাডুলির একজন মডেল খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এমএম