বঙ্গোপসাগরে জাহাজডুবি, ২৪ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি ১৩ নাবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ১৬ আগস্ট ২০২০
ফাইল ছবি

অডিও শুনুন

বঙ্গোপসাগরে ভাসানচরের অদূরে এক হাজার ৮০০ টন গম নিয়ে ডুবে গেছে ‘এমভি আখতার বানু’ নামের একটি জাহাজ। দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো খোঁজ মেলেনি জাহাজটির ১৩ জন নাবিকের।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মো. নবী আলম।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে আমদানি করা গম খালাস করে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল ‘এমভি আখতার বানু’। শনিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগরে জাহাজটি ডুবে যায়। এরপর থেকে ওই জাহাজের ১৩ নাবিকের কোনো খোঁজ মেলেনি।

নবী আলম বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই বিষয়টি আমরা কোস্টগার্ড পূর্বাঞ্চল ও হাতিয়া কোস্টগার্ডকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা উত্তাল সাগরে অভিযান চালায়নি। মালিকপক্ষও জাহাজ পাঠায়নি। সকালে আমরা তাদের কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রহিম বলেন, ‘জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট মাঝিরঘাটের শাহ আমানত শিপিং। পরিবহন করছিল আবুল খায়ের গ্রুপের গম। মালিকপক্ষকে বারবার বলেছি, নাবিকদের উদ্ধারে জাহাজ পাঠাতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা হয়নি।’

এ বিষয়ে শাহ আমানত শিপিংয়ের কর্মকর্তা পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে দুর্ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছিল। এছাড়া স্থানীয়ভাবে ট্রলার দিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও নাবিকদের পাওয়া যায়নি।’

কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বিশ্বজিত বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের নিজস্ব বোট দিয়ে সাগরে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত বলার মতো কিছু নেই। প্রয়োজন হলে উদ্ধারকারী জাহাজকেও কাজে লাগানো হবে।’

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে সাগরের একই এলাকায় বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে অপরিশোধিত দুই হাজার টন চিনি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে যাওয়া পথে উত্তাল সাগরে আরও একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে যায়। তবে জাহাজের ১২ নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গেছে।

আবু আজাদ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।