আনসার আল ইসলামের আরও ৩ সদস্য গ্রেফতার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আনসার আল ইসলামের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেফতাররা হলেন- আবুল হায়াত (২৬), মো. আব্দুল কুদ্দুস (৩০) ও মো. আল-আমিন (৩০)।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-৪ এর একটি দল।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালে র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (অপস) সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের কর্মপরিকল্পনা ও অপতৎপরতা সম্পর্কে গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জুলাই গ্রেফতারকৃত আনসার আল-ইসলামের ৫ সদস্য থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ আগস্ট এই তিনজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আনসার আল-ইসলামের বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী সম্পর্কিত বই, লিফলেট, ব্যাগ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আবুল হায়াতকে (২৬) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে পেশায় একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। চাঁপাইনবাবগঞ্জে তার নিজস্ব দোকান ও চেম্বার আছে। সে ৩ বছর ধরে আনসার আল-ইসলামের সঙ্গে জড়িত। সে খালিদ সাইফুল্লাহ নামে গোপন টেলিগ্রাম আইডি চালিয়ে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
গ্রেফতার আব্দুল কুদ্দুসকে (৩০) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে পেশায় একজন ফার্মেসির দোকানদার। সে ২ বছর ধরে আনসার আল-ইসলামের সঙ্গে জড়িত। বিডিআর বিদ্রোহে ইতোপূর্বে সে ৭ বছর জেল খেটেছে। জেলে থাকাকালীন সে জঙ্গি কাজে জড়িয়ে পড়েন।
গ্রেফতার আল-আমিনকে (৩০) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পারিবারিকভাবে জঙ্গিবাদে জড়িত, সে গত ৪ বছর ধরে আনসার আল-ইসলামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার পাশাপাশি সে তার ভগ্নীপতি মোকসেদুলসহ আনসার আল-ইসলামের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইয়ানত শাখা দেখাশোনা করে আসছিলেন।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
জেইউ/এফআর/এমএস