কর্মস্থলে ফিরতে আমিরাত প্রবাসীদের আকুতি, মিলছে না টিকিট
আবুধাবিতে অবতরণকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের রেসিডেন্স ভিসাধারীদের জন্য আর আইসিএ অ্যাপ্রুভালের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে আবুধাবি প্রশাসন। সেই সুযোগ নিয়ে দেশে আটকে থাকা আমিরাত প্রবাসীরা কর্মস্থলে ফিরতে চাইলেও টিকিটের অভাবে তা হচ্ছে না। গত দুদিন ধরে টিকিটের জন্য বিমান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অফিসে ভিড় করছেন হাজারও প্রবাসী।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আবুধাবিগামী সপ্তাহে ৪টি ফ্লাইট আছে বিমানের। যার প্রতিটিতে আসন আছে ২৭৮টি। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে হাজারও টিকিট প্রত্যাশী বিমান অফিসে ভিড় করছেন। অথচ চলতি মাসে আবুধাবিগামী সব ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ফ্লাইট না বাড়ালে বাড়তি টিকিট দেওয়া সম্ভব হবে না।
তবে অভিযোগ উঠেছে, বিমান অফিসে টিকিট পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি ও এজেন্টদের কাছে বাড়তি মূল্যে ঠিকই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার টিকিট চাওয়া হচ্ছে ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।
জানা গেছে, আবুধাবিতে অবতরণকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের রেসিডেন্স ভিসাধারীদের জন্য আর আইসিএ অ্যাপ্রুভালের প্রয়োজন হবে না। সেই সুযোগ নিতেই দেশে আটকে থাকা আমিরাতপ্রবাসী বিশেষ করে আবুধাবির বাসিন্দারা কর্মস্থলে ফিরতে টিকিটের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
দেশে আটকে পড়া আমিরাত প্রবাসীরা কর্মস্থলে ফিরতে টিকিট কনফার্মের জন্য বিমান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অফিসে গত দুদিন ধরে ভিড় করছেন। তাদের কারও ভিসার মেয়াদ শেষ, কেউ সেই দেশ থেকে ভিসার অ্যাপ্রুভাল এনেছেন। কেউ কেউ বলছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে যেতে না পারলে ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় সবাই কাঙ্ক্ষিত টিকেট পাচ্ছেন না।
জেলার বোয়ালখালীর বাসিন্দা নাছির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত মার্চ মাসে ১ মাসের ছুটিতে আবুধাবি থেকে দেশে ফিরলেও করোনার কারণে আর ফিরতে পারিনি। চলতি মাসে কর্মস্থলে যোগ দিতে না পারলে হয়তো চাকরিটা হারাতে হবে। কিন্তু গত দুইদিন বিমান অফিসে এসেও টিকিট পাইনি।’
এ বিষয়ে জানতে জাগোনিউজের পক্ষ থেকে বিমান অফিসের ম্যানেজার মীর আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিমান কর্মকর্তা জানান, যাত্রীর প্রত্যাশিত দিনে যদি আসন খালি থাকে অবশ্যই টিকিট কনফার্ম করা হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে বিজনেস ক্লাসে টিকিট কাটছেন বেশি ভাড়ায়। এখানে কাউকে অহেতুক হয়রানি বা কারও যাত্রা ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ নেই।
আবু আজাদ/এনএফ/এমকেএইচ