ভাদ্র মাসের বন্যা নিয়ে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২০

অডিও শুনুন

আগামী ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে বন্যা হলে সেটা দীর্ঘমেয়াদি হবে, তাই এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১০ আগস্ট) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। আজকে যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু ব্রিজের ওখানে ইতোমধ্যে বিপৎসীমার বেশ নিচে চলে গেছে।’

পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের আবহাওয়া বিভাগের ধারণা, আগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পার্টিকুলারলি (নির্দিষ্টভাবে) এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এই যে পানিটা যাচ্ছে এটাও ১৮-২০ দিন হয়ে গেছে। ১৮-২০ দিন পর পানিটা অনেকটা নিচে নেমে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেটা উনি (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ করে সতর্ক করলেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে থাকার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটা ওইখানে রাখতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এছাড়া আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম বিশেষ করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কিছু প্রোগ্রাম আছে, একটা প্রজেক্ট আছে সেই প্রজেক্টে তিনটি কম্পোনেন্টে ইমপ্লিমেন্ট করার কথা আছে। একটা হলো ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ঘরবাড়ি রিহ্যাবিলিটেশন করবে। আরেকটা হলো স্থানীয় সরকার তাদের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সেখানে ইনক্লুড (অন্তর্ভুক্ত) করা আছে। সেখানে একটা বড় টাকা ধরা আছে যদি কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে যায় ওটাকে তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য। সে বিষয়ে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমনের বীজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে এজন্য একটু উঁচু জায়গায় করার জন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, তারা যে নতুন জাত আবিষ্কার করেছেন সেটা ১৫ দিন পানির নিচে থাকলে নষ্ট হবে না।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন। রোপা আমন ঠিকভাবে না হলে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। গতবার আমনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন, এবার লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ লাখ টন। সেই তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। তবে গতবারের তুলনায় উৎপাদন বেশি হবে আশা করা যাচ্ছে।’

আরএমএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।