রিয়াদ হত্যা : হোটেল মালিককে ধরতে বন্দরগুলোতে পুলিশের চিঠি
মোবাইল চুরির অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের কর্মচারী রিয়াদ হোসেন (১৬) কে হত্যার ঘটনায় হোটেলটির মালিক সোহেল পলাতক রয়েছেন। তবে সোহেল যেন কোনো ভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে জন্য বন্দরগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্বামীবাগে মেসে নিয়ে রিয়াদকে মারধর ও গুলি করে হত্যা করে ঘরোয়া হোটেলের মালিক আরিফুল ইসলাম সোহেল (৩৩)।
এ ঘটনায় রিয়াদের বড় ভাই রিপন বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর হোটেলের কর্মচারী জসীমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সকাল থেকেই পলাতক আছেন সোহেল।
পুলিশের ওয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জাগো নিউজকে বলেন, মামলার প্রধান আসামি সোহেল যাতে দেশ থেকে পালাতে না পারে তাই দেশের স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে গতকাল থেকেই অভিযান চলছে।
বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, সোহেলসহ যেকোনো স্পর্শকাতর মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের দেশত্যাগের বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।
এদিকে, রিয়াদকে যেই মেসে হত্যা করা হয় এর পাশের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করেছে পুলিশ।
এবিষয়ে তপন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে মালিক সোহেলের ছবি ধরা পড়েছে। সে পাজেরো জিপ গাড়ি নিয়ে ভবনে ঢুকে এবং বের হয়।’
মামলার এজাহারে সোহেল, জসীম, কবির ছাড়াও অজ্ঞাত ৩-৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে রিয়াদের এক আত্মীয় অভিযোগ করেন, মামলাটি দায়েরের পর থেকেই অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে।
তবে ওসি জানান, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে ওয়ারী বিভাগীয় পুলিশ ছাড়াও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), র্যা বসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা সোহেলকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুনতাসিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ সোহেল বুধবার দুপুরে শান্তিনগরের বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে বলে আমরা জেনেছি। তার বাড়িটি তালাবদ্ধ রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।’
এআর/এসকেডি/আরআইপি