ফেরা না ফেরার মাঝখানে


প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

তাদের সর্ম্পকটা বেশ ভালোই যাচ্ছিল। সদ্য চারুকলা থেকে পাশ করা নবনিতা এখন একটা ছোট্ট ফ্ল্যাট গুছিয়ে নিয়ে একাই থাকে। আসলে গুছিয়ে নেবার চেয়ে বেশি অপেক্ষা করছিল কানাডা থেকে অনিন্দ্যর ফিরে আসবার। ভীষণ ভালোবাসে অনিন্দ্য আর নবনিতা একে অপরকে।

এ জীবনে যতগুলো পোট্রেট নবনিতা এঁকেছে তার বেশিরভাগই অনিন্দ্যর। আশে পাশের মানুষজন, দোকানদার, রিকসাওয়ালা সবাই যেন জেনে গেছে এবার অনিন্দ্য কানাডা থেকে ফিরে আসলেই ওদের বিয়ে।

নতুন সংসার... ঢাকা শহরের সবাই জানে শুধু একটা লোক ছাড়া। সে রুদ্র। সত্যিই কি জানতো না? কিংবা না জানার ভান করছিল, নবনিতার কাছে আসার জন্য? কিন্তু সেই কলেজ জীবন, তারপর চারুকলা কতটা সময়তো একসাথে কেটেছে। রুদ্র একদম অন্য ধাঁচে গড়া ছেলে। কোন সর্ম্পর্কের বাধনেই নিজেকে আটকাতে চায় না। রুদ্র নিজেকে আলগোছে সরিয়ে রাখতে চেয়েছে পার্থিব মোহ থেকে। মানুষ চাইলেও যেমন সব পারে না তেমনি রুদ্রও পারে না।

হঠাৎ করে তার মা মারা গেলে। অদ্ভুত শূন্যতা ঘিরে ধরলো। বন্ধুরা কিছুদিনের জন্য তাদের কাছে থাকতে বললে রাজি হয়নি রুদ্র। তবে কোন এক রাত জাগা ভোরে অজানা কারণে নবনিতার দরজায় এসে দাঁড়ায়। সম্পর্কের শুরুটা এখান থেকেই। দেখেতে দেখতে কেটে যায় কয়েকটা মাস।

আজ অনিন্দ্য ফিরে আসার সংবাদে দুজনার মাঝে নিস্তব্ধতা নেমে আসে। কী হবে সম্পর্কগুলোর? দেখতে হলে চোখ রাখতে হবে এটিএন বাংলার পর্দায়। শনিবার ৩১ অক্টৈাবর রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে চ্যানেলটিতে প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘ফেরা না ফেরার মাঝখানে’।

পান্থ শাহরিয়ারের রচনায় নটকটি পরিচালনা করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। অভিনয় করেছেন রিচি সোলায়মান ও শহীদুজ্জামান সেলিমসহ আরো অনেকেই।

এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।