অপরিবর্তিত থাকছে থার্ড টার্মিনালের নকশা, সাশ্রয় ৭৫০ কোটি
নির্ধারিত জুন- ২০২৩ এর মধ্যেই তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে তা যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেন, এর নকশায় কোনো পরিবর্তন হবে না। বরং প্রকল্পে সাশ্রয় হবে ৭৫০ কোটি টাকা।
রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের অগ্রগতি ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভূমির উন্নয়নকাজ সম্পন্নের পর বর্তমানে পাইলিংয়ের কাজ চলমান। ৩০০০-এর কিছু বেশি পাইলিংয়ের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৬৪টির সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট কাজের ৬.৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের এ অগ্রগতি সন্তোষজনক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। নির্মাণ কাজে কর্মরত জনবলের জন্য আলাদা বাসস্থান, কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণসহ নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের বিদ্যমান নকশায় কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। নির্মাণস্থানের মাটির অবস্থার কারণে স্ক্রুড পাইলিংয়ের পরিবর্তে বোর পাইলিংয়ে কাজ হচ্ছে। এটি একান্তই একটি টেকনিক্যাল বিষয়। এর কারণে প্রকল্পব্যয় কোনোভাবেই বৃদ্ধি পাবে না বরং মোট প্রকল্প ব্যয় হতে ৭৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত এই টাকা দিয়ে সরকার ও জাইকার সম্মতি এবং অন্যান্য বিধিগত প্রক্রিয়া নিষ্পত্তিসাপেক্ষে তৃতীয় টার্মিনালে নির্মিতব্য ১২টি বোর্ডিং ব্রিজের অতিরিক্ত আরও ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ এবং একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পরিদর্শনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এআর/এমএআর/জেআইএম