ঈদ শেষে চেনা রূপে ফেরেনি ঢাকা
এবারের ঈদে নির্ধারিত তিন দিনের সাধারণ ছুটির বাইরে আর কোনো ছুটি দেয়া হয়নি। গতকাল রোববার শেষ হয়েছে তিন দিনের নির্ধারিত ছুটি। কর্মস্থলে যোগ দিতে রোববার রাত থেকেই অনেকে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন, অফিসও করেছেন সোমবার। ঈদের পরের প্রথম কার্যদিবসে চিরচেনা রূপে ফেরেনি রাজধানী ঢাকা। নেই কোলাহল, এখনও ফাঁকা ঢাকা।
সোমবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সরেজমিন রাজধানীর মতিঝিল ও এর আশপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে চোখে পড়েনি মানুষের ভিড় কিংবা যানজটের চিরচেনা রূপ। ফুটপাতে ছিল না কোনো হকার, সড়কে নেই ট্রাফিক জ্যাম।
ব্যস্ত মতিঝিলের ফাঁকা রাস্তায় হাতেগোনা রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চলছে। প্রাইভেটকারের সংখ্যাও কম। ফুটপাতে দু-একজন ভিক্ষুক ঘুমাচ্ছেন। এ ছাড়া কোনো মানুষের দেখা মেলেনি।
মতিঝিল থেকে আব্দুল্লাহপুরের বিআরটিসি বাসের সহকারী শাহিন হাসান জানান, ঈদের আগে যে গন্তব্যে যেতে এক-দেড় ঘণ্টা লাগতো এখন রাস্তা ফাঁকা হওয়ায় ১৫-২৫ মিনিটের মধ্যে চলে যাচ্ছেন। তবে যাত্রী কম থাকায় উপার্জনও কম হচ্ছে তাদের।
যাত্রী মাইনুল হাসান রাজু জানান, বাসে মতিঝিল থেকে নতুনবাজার যেতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগত। আজ থেমে থেমেও ৩৫ মিনিটে পৌঁছে গেলাম। সড়ক ছিল কোলাহল-যানজটমুক্ত। এমন ঢাকাই তো চাই আমরা।
বাড়িফেরা অনেকেই এখনো ঢাকায় ফেরেননি; তবে যারা ঢাকায়ই ঈদ করেছেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারাও বাইরে বের হননি।
দুপুরের দিকে রাজধানীর পল্টন, শাহবাগ, বাংলামোটর, ইস্কাটন, মগবাজার, হাতিরঝিল, গুলশান, রামপুরা-বাড্ডা এলাকা ঘুরেও চোখে পড়ে ফাঁকা পথঘাট। গণপরিবহন তুলনামূলক কম।
রাহাত হোসেন নামে বেইলি রোড থেকে টঙ্গীর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একজন চাকরিজীবী জাগো নিউজকে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে (একটি প্রথম সারির ব্যাংক) চাকরি করি। অতিরিক্ত ছুটি চেয়েও পাইনি। অফিসের জরুরি প্রয়োজনে পরিবারকে রেখে সোমবার ভোরেই কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এলাম। এই ফাঁকা ঢাকায় একাকিত্বটা যেন আরও বেড়ে যাচ্ছে। যানজট আর কোলাহলের ঢাকাকে খুব মিস করছি।
গত শনিবার ছিল পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে গত শুক্র, শনি ও রোববার (৩১ জুলাই, ১ ও ২ আগস্ট) সরকারি ছুটি ছিল।
এআর/এনএফ/এমএস