২৭ হাজার কোরবানির পশু অনলাইনে বিক্রি
করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চালু হওয়া অনলাইন কোরবানির পশুর হাট থেকে ২৭ হাজার গরু-ছাগল ও অন্যান্য পশু বেচাকেনা হয়েছে।
ডিজিটাল হাট ও ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে শুক্রবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ই-ক্যাব ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত ১১ জুলাই থেকে চালু হয় ডিজিটাল হাট।
সেখানে আরও জানানো হয়, অনলাইন থেকে ছবি দেখে পরে সরাসরি কৃষকের বাড়ি ও খামার থেকে এর তিনগুণের বেশি গরু কিনেছেন ক্রেতারা।
এর মধ্যে ডিজিটাল হাট এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ও ই-ক্যাব সদস্যদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হওয়া গরু, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ছয় হাজার ৮০০টি। কোরবানি ঈদের একদিন বাকি থাকতে জেলাভিত্তিক সরকারি প্ল্যাটফর্মে কমপক্ষে পাঁচ হাজার ৫০০টি গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। সরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি ৫১৭টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে নরসিংদী জেলায়।
ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত কোম্পানির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বিক্রি হয়েছে প্রায় নয় হাজার এবং ফুড ফর নেশন থেকে চার হাজার কোরবানির পশু। এছাড়া অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও ৫০০ গরু বিক্রি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করায় ডিএনসিসি, আইসিটি ডিভিশন, ই-ক্যাব, আইএসএসএল, ধানসিঁড়ি ও সাদিক এগ্রোসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির ক্ষেত্রে সবসময় পশুর মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ক্রেতাদের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ক্রেতাদের সুবিধা এবং উদ্যোক্তাদের সুবিধা— দুটোই আমাদের দেখতে হয়েছে। শুধুমাত্র ডিজিটাল হাট প্লাটফর্ম ঘিরে এবার বেশ কয়েকজন নতুন অনলাইন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট অনেকেই অংশ নেন।
এএস/এমএআর/এমএস