৫০ সহকারী জজ নিয়োগ দিয়েছে সরকার
নিম্ন আদালতে (বিচারিক) বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ৫০ সহকারী জজকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রাষ্ট্রপতির নির্দেশে বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বিকাশ কুমার সাহার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি হয়। জুডিশিয়াল সার্ভিসের অষ্টম পরীক্ষায় পাস করার পরে তারা এই পদে নিয়োগ পেলেন।
জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে অস্থায়ী ভিত্তিতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এই ৫০ সহকারী জজকে নিয়োগ দেয়া হল। বিভিন্ন জেলায় তাদেরকে পদায়নও করা হয়ছে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। আগামী ১৫ নভেম্বর তাদেরকে সংশ্লিষ্ট জেলায় যোগ দিতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, এই নিয়োগের পর ২ বছর তারা শিক্ষানবিশ হিসেবে থাকবেন। স্থায়ী করার আগে মেয়াদ এক বা একাধিকবার অতিরিক্ত ২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
“শিক্ষানবিশ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে এবং বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এরপর শর্ত পালন সাপেক্ষে তাদেরকে স্থায়ী করা হবে।”
সহকারী জজরা হলেন, তরিকুল ইসলাম, বাদল কুমার চন্দ, রুবাইয়া আক্তার, শাফিয়া শারমিন, মোহাম্মদ রেজাউল হক, সহদেব চন্দ্র রায়, সাবিনা ইয়াসমীন, মুহাম্মদ জিয়াদুল ইসলাম চৌধুরী, ফারহা নূর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান, কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, মহসিনা হোসেন তুষি, সুমন কুমার কর্মকার।
এছাড়া নয়ন বিশ্বাস, ফারাহ্ দিবা ছন্দা, মো. সেলিম রেজা, মো. উজ্জল মাহমুদ, অরূপ কুমার বসাক, জুয়েল দেব, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. লিটন হোসেন, মাইনুল ইসলাম, উজমা শুকরানা, শামীমা খাতুন, মো. জাকী-আল-ফারাবী, তারান্নুম রাহাত, মিলন চন্দ্র পাল, আসমা মাহমুদ, সুবর্ণা সেঁজুতি, মো. সোয়েবুর রহমান।
অন্যরা হলেন, আশরাফুন নাহার, পবন চন্দ্র বর্মন, নুসরাত শারমিন, রাজিব আহমেদ তালুকদার, সুধাংশু শেখর রায়, জান্নাতুল রাফিন সুলতানা, উৎপল ঘোষ, মো. মনিরুজ্জামান সরকার, সোহেল ম্রং, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, বিলাস মন্ডল, আরোবিয়া খানম, সাদিয়া আফরীন, সারোয়ার জাহান, আকরামুল ইসলাম, নুসরাত মোস্তারী, মোহম্মদ ইকবাল হোসেন, ইয়াসমিন নাহার, মো. আল মেহবুব, আনোয়ার হোসেন সাগর।
উক্ত প্রজ্ঞাপনটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে পাঠনো হয়েছে।
এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি