‘আকাশে তাঁরা পাখির মতো’


প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৫
ছবি - বিপ্লব দিক্ষিৎ

আকাশে পাখির মতো ওড়ার স্বপ্ন কে না দেখে। কেউ পারেন সেই স্বপ্ন পূরণ করতে আর কারো স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। স্বপ্ন দেখতেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন ও শাহরিনাও। তবে তাঁদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। সত্যিই আকাশে পাখির মতো উড়লেন তাঁরা।

হ্যাঁ সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের দৃঢ়তায় আকাশে উড়লেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুই নারী সদস্য ক্যাপ্টেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন ও ক্যাপ্টেন শাহরিনা বিনতে আনোয়ার। বুধবার সফলভাবে একক উড্ডয়ন শেষ করেন তারা। সাহসিকতাপূর্ণ এ কাজ শেষে কথা বলেন সেনাবাহিনীর প্রথম নারী দুই বৈমানিক।

air
‘আকাশে আমি পাখির মতো উড়তে পারি। এ যেন এক চমৎকার অনূভূতি। যে অনূভূতির কোনো ভাষাগত প্রকাশ নেই। নেই আবেগের প্রকাশ। শুধুই ভালো লাগা।’এভাবেই বলছিলেন নাজিয়া।

কেন এই দুঃসাহিক কাজে? প্রশ্নের জবাবে শাহরিনা বলেন, মেয়েরা চিকিৎসক হবেন, প্রকৌশলী হবেন, এটাই চাওয়া। তবে চেয়েছিলাম দুঃসাহিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে। বাবা-মার একমাত্র সন্তান হয়েও চেয়েছি এভাবেই দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে। আজ আমি সফল।

নারী হিসেবে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা জানতে চাইলে দু’জনের একই কথা- ‘না। নারী হিসেবে কোন অগ্রাধিকার বা সহানুভূতি চাইনি। পুরুষ সহকর্মীদের মতো চেষ্টা করেছি। তবে তারা সহযোগিতা করেছেন। পরিবারের মানুষেরা উৎসাহ দিয়েছেন। তাইতো পাখির মতো উড়তে পেরেছি।

air
ভয় বা শঙ্কার মুহূর্ত কি? প্রশ্নের উত্তরে শাহরিনা বলেন, যখন আমি আকাশে আর পাশে কেউ নেই, সেই মুহূর্তটি কিছুটা ভয়ের বটে। তবে পিছু হটতে চাইনি।

শাহরিনা বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম নারী বৈমানিক। অনেক নারী আমাদের মতো অনেক নতুন কাজে পুরুষের সঙ্গে চলবে। শুধু তাই নয়, পুরুষরা যা করতে পারেনি, হয়তো একদিন আমরা সেটি করে দেখাবো।

এসএ/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।