হাটে ২০ মণের ‘শান্ত’, ৬ লাখে বিক্রির আশা ব্যাপারীর
দুপুর ১টা। রাজধানীর ঐহিত্যবাহী ফুটবল ক্লাব রহমতগঞ্জ পশুর হাটে একটি গরুর সামনে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। সাদা-কালো রঙের বিশালদেহী গরুটি গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে দিচ্ছিলেন ব্যাপারী। আশপাশে বেঁধে রাখা গরুগুলো ভয়েও কাছে ঘেঁষছিল না।
কৌতূহলী মানুষ গরুর মালিকের কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করছিলেন। ‘কী প্রজাতির গরু’, ‘দৈনিক কত টাকার খাবার খায়’, ‘বয়স কত’, ‘রাগী না ঠান্ডা স্বভাবের’ ইত্যাদি। প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে গরুর সেবায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় ব্যাপারীকে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কুষ্টিয়ার গরু ব্যাপারী আবদুল মান্নান জানান, প্রতি বছর বাড়িতে পালা একটি গরু নিয়ে ঢাকায় আসেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। যে গরুটি নিয়ে এসেছেন তাকে এক বছর বয়স থেকে লালনপালন করছেন। আড়াই বছর ধরে দৈনিক ৫০০ টাকার খাবার খাইয়েছেন।
দেশি-বিদেশি শংকর প্রজাতির গরুটির নাম ‘শান্ত’ বলে জানান। বাড়িতে নিজের মতো করে আয়েশী পরিবেশে থেকে এখন হাটের পরিবেশে ‘শান্ত’ বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে। একে সামলাতে তাকে সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হয়। গরমের কারণে দুবেলা গোসল করানো, সময় সময় খড়, ভুসি, ঘাস ও পানি খাওয়াতে হয়।
তিনি জানান, গরুটির ওজন ২০ মণেরও বেশি। ঘরে পালিত এ গরুটির মাংস খেতে খুবই মজা হবে মন্তব্য করে বলেন, ‘গরুটি লালনপালন করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ছয় লাখ টাকার কমে বিক্রি করলে লাভ হবে না।’
যার পছন্দ হবে তিনি ছয় লাখ টাকা দিয়েই এটি কিনে নিয়ে যাবেন বলে গরু ব্যাপারী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এমইউ/বিএ/এমএস