বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করবে গ্রিস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২০

গ্রিসের পশ্চিমাঞ্চলে মানোলাদা নামক স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক বসবাস করেন। তারা মূলত সেখানকার কৃষিখামার বিশেষ করে স্ট্রবেরি এবং তরমুজ খামারে কাজ করেন। এই শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং গ্রিসের স্থানীয় সরকার।

এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন স্থানীয় মেয়র ইয়ানিস লেন্তাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। শনিবার (২৫ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে গ্রিসের বাংলাদেশ দূতাবাস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে শ্রমিকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে রাষ্ট্রদূত মেয়রকে তাদের আবাসন, স্বাস্থ্যসহ জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে উদ্যোগ এবং যেসব বাংলাদেশি অনিয়মিতভাবে সেখানে বসবাস করছেন, তাদের গ্রিক সরকারের বৈধতা প্রদানে সহায়তার জন্যও তিনি মেয়রকে অনুরোধ করেন।

মেয়র ইয়ানিস বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের আবাসনের জন্য মিউনিসিপ্যালিটি থেকে জমি দেয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের চিত্তবিনোদনের জন্য বিশেষ পার্ক তৈরি করার কথা বলেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা যেন কৃষিজমি লিজ নিতে পারেন, সে বিষয়ে জটিলতা দূর করতেও মেয়র আশ্বাস দেন। মানোলাদায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য একটি মসজিদ এবং কবরস্থানের ব্যবস্থা করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। মেয়র এ বিষয়ে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে নাগরিক পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব দৃঢ় করার লক্ষ্যে দূতাবাস এবং মিউনিসিপালিটি একযোগে কাজ করতে পারে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়।

বৈঠকে মেয়র মানোলাদায় বসবাসকারী প্রবাসী শ্রমিক এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যেন স্থানীয় আইন মেনে চলেন, সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে প্রবাসীদের সচেতন করতে বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে মর্মে মেয়রকে অবহিত করেন।

জেপি/বিএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।